বুধবার ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ফের সংঘর্ষ, হতাহত বহু

প্রকাশিত : ০৬:০৪ অপরাহ্ণ, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার ১৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত এলাকায় নতুন সংঘর্ষে অজস্র মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ও উত্তেজনার কারণে এই সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

খবর আল জাজিরার।
নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনাটি মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের স্পিন বলদক জেলা ও পাকিস্তানের চামান জেলাকে কেন্দ্র করে ঘটে। দুই পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষের জন্য দায়ী করেছে।

আফগান তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক্সে দেওয়া পোস্টে দাবি করেন, পাকিস্তানি সেনারা ‘হালকা ও ভারী অস্ত্র’ ব্যবহার করে হামলা চালিয়ে এ সংঘর্ষের সূচনা করে। এতে ১২ জন নাগরিক নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। স্পিন বলদকের জেলা মুখপাত্র আলি মোহাম্মদ হকমাল নিহত নাগরিকের সংখ্যা ১৫ জন উল্লেখ করেন। এএফপি সংবাদ সংস্থা জানায়, আহতদের মধ্যে ৮০ জন নারী ও শিশু রয়েছেন।

মুজাহিদ আরও বলেন, আফগান সেনারা পাল্টা হামলা চালিয়ে ‘বেশ কয়েকজন’ পাকিস্তানি সৈন্যকে হত্যা করেছে, পাকিস্তানি অস্ত্র ও ট্যাঙ্ক জব্দ করেছে এবং পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করেছে।

পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের দাবি, আফগান তালেবান প্রথমে পাকিস্তানি সেনা পোস্ট এবং সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে গুলি চালিয়ে সংঘর্ষের সূচনা করে। এতে পাকিস্তানের চারজন নাগরিক আহত হ। রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংঘর্ষে ছয়জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছেন। এই লড়াই প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চলেছে।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগান তালেবানের হামলা আমরা কার্যকরভাবে প্রতিহত করেছি। হামলায় ১৫–২০ জন তাদের সদস্য নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। রাতের অন্য একটি ঘটনায় কুরম জেলাতেও তালেবানের হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। পাকিস্তান হামলার সূচনা করেছে এমন অভিযোগ মিথ্যা ও বাজে দাবি।

নাজিবুল্লাহ খান নামে চামানের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে অনেক মানুষ নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, মানুষের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন। তাদের ঘরে গুলি ও বোমার শেল পড়ছে।

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা গত শনিবার থেকেই তীব্র হয়ে ওঠে। দুই দেশের মধ্যে একাধিক স্থানে গোলা বিনিময় হয়, ফলে দুই পাশে অজস্র হতাহতের ঘটনা ঘটে। যদিও সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় গত রোববার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সীমান্তের বেশিরভাগ ক্রসিং বন্ধ রয়েছে।

কাবুল অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সীমান্তে তাদের পুনরাবৃত্ত হস্তক্ষেপের জবাবে আফগান সেনারা পাকিস্তানি সেনা পোস্টে হামলা চালিয়ে ৫৮ জন সৈন্য হত্যা করেছে। পাকিস্তান এ সংখ্যাটি ২৩ জন উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, সীমান্তে পাল্টা হামলায় ২০০ জন ‘তালেবান ও সমর্থিত সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তান কাবুলকে দেশটির বিরোধী পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি) লড়াকুদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। কাবুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের ভূখণ্ড কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় না।

এদিকে, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুততাকি সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত সফর করেছেন, যা ইসলামাবাদ ‘গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে। মুততাকি ভারত সফরে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, উভয় দেশই ইতিবাচক সম্পর্ক চায়, কিন্তু পাকিস্তানের কিছু গোষ্ঠী অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT