শুক্রবার ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধেঁয়ে আসছে শক্তিশালী মৌসুমি বৃষ্টি বলয় “প্রবাহ”

প্রকাশিত : ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার ১৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

এই বৃষ্টি বলয়টি দেশের পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে ও দক্ষিণ অঞ্চলে বেশি সক্রিয় হতে পারে। এই সময় উজানে ভারী বর্ষণ এর ফলে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের নদনদীর পানি বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

এটি একটি প্রায় পূর্নাঙ্গ বৃষ্টি বলয়, মানে এই বৃষ্টি বলয় সারাদেশে বিশেষ সক্রিয় না হলেও অধিকাংশ এলাকায় বেশ সক্রিয় হতে পারে। তবে দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যথেষ্ট বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এবং এই বৃষ্টি বলয় টি দেশের প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ এলাকায় বেশ ভারীবৃষ্টি ঘটাতে পারে।

এটি চলতি বছরের ১৩ তম বৃষ্টি বলয় ও ৯ তম মৌসূমী বৃষ্টি বলয়।

কোথায় কেমন সক্রিয় হতে পারে?
সর্বাধিক সক্রিয়ঃ রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ
বেশ সক্রিয় : ঢাকা বিভাগ
মাঝারি সক্রিয়: সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ

নাম : শক্তিশালী মৌসুমী বৃষ্টি বলয় “প্রবাহ”।
টাইপ : প্রায় পূর্নাঙ্গ বৃষ্টি বলয়। [৮০% এলাকায়]
ক্যাটেগরি : ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি বলয়

কাভারেজ : দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা।
ধরন : মৌসূমী বৃষ্টি বলয়
সময়কাল : ৩০শে সেপ্টেম্বর রাত হতে ৫ই অক্টোবর ২০২৫। [পর্যায়ক্রমে, একসাথে সারাদেশে নয়]
সর্বাধিক সক্রিয়: ২ টু ৪ ই অক্টোবর। [পর্যায়ক্রমে, একসাথে সারাদেশে নয়]

কালবৈশাখী : নেই
বজ্রপাত : প্রথম দিকে প্রায় তীব্র, অধিকাংশ এলাকায়। পরে হালকা থেকে মাঝারি।
বন্যা : রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারী বর্ষণের কারণে নদ নদী সমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে নদনদীর নিকটবর্তী নিম্ন অঞ্চল সাময়িক প্লাবিত হতে পারে। এছাড়াও বেশ কিছু এলাকায় নিম্ন অঞ্চলে সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।

একটানা বর্ষন : আছে বেশি সক্রিয় এলাকায়
সিস্টেম : একটি নিম্নচাপ থাকতে পারে।
ঝড় : এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে ঘন্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে।

সাগর : বেশিরভাগ সময়েই সাগর বেশ উত্তাল থাকতে পারে। তাই সাগরে এসময় নিরাপদ নয়।
পাহাড় ধসঃ কক্সবাজার রাঙ্গামাটি বান্দরবান ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের ঝুঁকি থেকে যায়।

বৃষ্টি বলয় প্রবাহ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত
নোট : বৃষ্টিবলয় ” প্রবাহ ” চলাকালীন সময়ে দেশের আকাশ অধিকাংশ এলাকায় মূলত মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। ও অধিক সক্রিয় এলাকায় প্রায় সবসময়ই মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
বৃষ্টি বলয় ” প্রবাহ” তে বেশি সক্রিয় এলাকায় অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হতেপারে একটানা ও দীর্ঘস্থায়ী।

*এই বৃষ্টি বলয় চলাকালীন সময়ে দেশের প্রায় ৬০-৭০% এলাকায় পানি সেচের চাহিদা পুরন হতে পারে।

এই বৃষ্টি বলয় টি ৩০শে সেপ্টেম্বর দেশের পূর্ব অঞ্চল দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে ও আগামি ৬ই অক্টোবর রংপুর বিভাগ হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।

বৃষ্টিবলয় প্রবাহ চলাকালীন সময়ে দেশের আবহাওয়া অধিকাংশ এলাকায় আরামদায়ক থাকতে পারে। এবং টানা বৃষ্টি চলা এলাকায় বেশ ঠান্ডা অনুভূতি হতে পারে।

বৃষ্টি বলয় প্রবাহ এর বৈশিষ্ট্য : এটি দেশের এক প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে অন্য প্রান্তের দিকে প্রবাহিত হতে পারে। অর্থাৎ শুরুতে দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল দিয়ে শুরু হলেও শেষ পর্যায়ে এটি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যেয়ে শেষ হতে পারে।

প্রবাহ যেহেতু প্রায় পূর্নাঙ্গ বৃষ্টি বলয় [পুরোপুরি পূর্নাঙ্গ নয়], সুতরাং প্রবাহ চলাকালীন সময়ে দেশের কিছু এলাকায় খুবই কম বৃষ্টিপাত বা বৃষ্টি একেবারে না ও হতে পারে।

নোট: বৃষ্টি বলয় চালু হওয়া মানে একসাথে সকল এলাকায় বৃষ্টিপাত নয়। মূলত এই সময়সীমার মধ্যে সর্বোচ্চ সক্রিয় এলাকায় পর্যায়ক্রমে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং কম সক্রিয় এলাকায় বৃষ্টিপাত হলেও তা পর্যায়ক্রমে ও কম হতে পারে।

মেঘের অভিমুখ: অধিকাংশ সময় দক্ষিণ হতে উত্তর দিকে, তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকায় গতিপথ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

জেনে নিন দেশের কোথায় কেমন বৃষ্টি হতে পারে
আসুন একনজরে দেখেনেই বৃষ্টি বলয় “প্রবাহ” চলাকালীন সময়ে দেশের কোন বিভাগে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ও বৃষ্টি বলয়ের ৬ দিনে কোন বিভাগে গড়ে কত দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

*ঢাকা ১২০-১৭০ মিলিমিটার, গড়ে ৪দিন
*খুলনা ১৬০-২১০ মিলিমিটার গড়ে ৪ দিন
*বরিশাল ১৫০-১৭০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
*সিলেট ৮০-১৩০ মিলিমিটার গড়ে ৪ দিন
*ময়মনসিংহ ১৪০-২০০ মিলিমিটার গড়ে ৪ দিন
*রাজশাহী ১৭৫-২৫০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
*রংপুর ২৮০-৩৮৫ মিলিমিটার গড়ে ৪ দিন
*চট্টগ্রাম ৮০-২০০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন।

বৃষ্টি বলয় এর পূর্বাভাসে যা বিবেচনায় রাখতে হবে:
*এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান কিছুটা হেরফের হতেপারে। ও দেশের কোন কোন ক্ষুদ্র এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে ও কোন ক্ষুদ্র স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতে পারে।

নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি বলয় “প্রবাহ” এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতে পারে।

পূর্বাভাস তৈরি : Bangladesh Weather Observation Team Ltd. (BWOT)

বাংলাদেশে BWOT একমাত্র আবহাওয়া সংস্থা যারা বৃষ্টি বলয় নামকরন করে বৃষ্টিবলয়ের পূর্বাভাস করার প্রচলন করে। তাই BWOT ব্যাতিত আর কেউ বৃষ্টি বলয় নামকরণ করে পূর্বাভাস করে বিভ্রান্তি তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন]

*DISCLAIMER: এটা শুধুমাত্র আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য, কোনো সরকারি পূর্বাভাস বা সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি না এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অফিসিয়াল পূর্বাভাসের জন্য সবাই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করুন।
এবং এই পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন, অথবা তাদের পূর্বাভাস অনুসরণ করুন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT