রবিবার ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ গণভোট ইস্যুতে মুখোমুখি বিএনপি-জামায়াত ◈ শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা ◈ চলতি বছর স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ বার, কমেছে কত বার? ◈ সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকাসহ যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস ◈ বিএনপির একজন নেতার চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই গণভোট আয়োজন সম্ভব: পাটওয়ারী ◈ ঢাকায় জুলাইযোদ্ধা শাফিনের রহস্যজনক মৃত্যু ◈ জামায়াত নিষিদ্ধে আলালের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানালেন আবদুল হালিম ◈ বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বোঝাপড়া হচ্ছে বলে শুনতে পাচ্ছি: পাটওয়ারী ◈ জামায়াত-বিএনপি ও এনসিপির কাঠামোর মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়: জাপা মহাসচিব ◈ নির্বাচন কমিশন ভাগাভাগি হয়ে গেছে: হাসনাত

গুলিতে নিহত মামুনের পরিবারের স্বপ্ন চুরমার

প্রকাশিত : ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ, ৩১ জুলাই ২০২৪ বুধবার ১২২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সাড়ে তিন বছরের মো. মুছাইব হাসান এখনো জানে না তার বাবা মামুন হোসেন আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। তাকে কাঁধে তুলে বাড়ির সামনের দোকানে নেবে না। স্ত্রী সুলতানা আক্তারের স্বামীর সঙ্গে শেষ কথা বলাও হলো না। বাবা আবদুল মতিন ও মা ফাতিমা খাতুন সন্তান হারিয়ে শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন বারবার। সন্তান বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ায় আক্ষেপের শেষ নেই বাবার। মামুনকে হারিয়ে তার পরিবারের স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে।

মামুন হোসেন নোয়াখালী সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামের বাসিন্দা। বাবা আবদুল মতিন বলেন, মামুন পেশায় ট্রাকচালক। আমিও গাড়ি চালাই। সেই সুবাদে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় আমরা থাকতাম। গত ১৯ জুলাই বিকালে মহাখালী ফ্লাইওভারের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন মামুন। এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ চলছিল। পথচারীরা মামুনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।

মামুনের বাবা বলেন, পরে একজন ফোন করে জানালে আমি খবর শুনে ছুটে যাই ওই হাসপাতালে। সেখান থেকে ছেলেকে নিয়ে যাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানকার পরিস্থিতি তখন এতটাই খারাপ, চিকিৎসা করানোর মতো কোনো অবস্থা ছিল না। পরে মামুনকে নিয়ে যাই মহাখালীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও মেলেনি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। অনেক চেষ্টা করেও কোনো চিকিৎসককে হাসপাতালে আনতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পরে আমার ছেলে বিনা চিকিৎসায় রাত ৩টায় ওই হাসপাতালে মারা যায়।

তার লাশ নিয়ে এসে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মামুনের মা ফাতেমা খাতুন বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়িতে ঘরের ভিটা ছাড়া আর কোনো জায়গা-সম্পত্তি নেই। চার ছেলের তিনজনকে বিয়ে করিয়েছি। ছোট্ট একটি টিনের ঘরে অনেক কষ্ট করে ছেলে, ছেলের বউ, নাতিদের নিয়ে থাকি। আশা ছিল, ছেলে গাড়ি চালিয়ে বাড়তি রোজগার করবে। পরিবারের হাল ধরবে; কিন্তু সব আশা শেষ হয়ে গেছে। ছোট্ট নাতি মুছাইব হাসানের দিকে তাকালে বুকটা ফেটে যায়।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মামুনের স্ত্রী সুলতানা আক্তার বলেন, শেষবার যখন কথা হয়, তখন আমার স্বামী বলেছিলেন যে ঢাকায় অনেক গণ্ডগোল হচ্ছে। তাই তিন দিন ধরে গাড়ি নিয়ে বাইরে বের হতে পারছেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিন-চার দিন পর বাড়িতে আসবেন; কিন্তু সেই আসা আর হলো না। এর আগেই স্বামীর লাশ দেখতে হয়েছে আমাকে। আমাদের একমাত্র সন্তান মুছাইবকে এ অবস্থায় কী সান্ত্বনা দেব?

এ সময় মুছাইব তার মায়ের দিকে ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাত দিয়ে মায়ের চোখের পানি মুছে দিচ্ছিল।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT