শুক্রবার ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে নেদারল্যান্ডসের রাস্তায় লাখ লাখ মানুষ

প্রকাশিত : ০৭:২৮ পূর্বাহ্ণ, ৬ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার ১৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসে লাখ লাখ মানুষের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দেশটির রাজধানী আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নেদারল্যান্ডসের সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

আয়োজকরা বলেছেন, আমস্টারডামে গাজা যুদ্ধবিরোধী এই বিক্ষোভে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশও বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকজনের এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ লোকজনই ইসরায়েলের গাজা অবরোধবিরোধী প্রতীকী ‘রেড লাইন’ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে লাল রঙের পোশাক পরেছিলেন।

‘রেড লাইন মার্চ’ নামের এই বিক্ষোভ গত মে মাসে দ্য হেগে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশের ধারাবাহিকতায় আয়োজন করা হয়েছে বলে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধ অবসানের পরিকল্পনা ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ আগেই এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন আয়োজকরা।

বিক্ষোভের আয়োজক সংস্থা প্যাক্স নেদারল্যান্ডস বলেছে, তারা গাজায় শান্তির প্রত্যাশা করছেন। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় তাদের অবস্থান বদলায়নি। প্রবল বৃষ্টির মাঝেই রোববার প্রায় সব বয়সী ডাচ নাগরিকরা রাজধানীর রাস্তায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ মিছিলে অংশ নেন। কেউ কেউ ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে ‘‘ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন’’ স্লোগান দেন।

আবার অনেকের হাতে ‘‘ইসরায়েলের জন্য লজ্জা!’’ এবং ‘‘গাজা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরাও মুক্ত নই’’ লেখা প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ২৭ বছর বয়সী ডাচ নাগরিক এমিলিয়া রিভেরো ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, গাজায় ভয়াবহ নৃশংতায় যে দৃশ্য আমরা দেখছি, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়াটা আমাদের ন্যূনতম দায়িত্ব।

বিক্ষোভের আয়োজকরা অভিযোগ করে বলেছেন, নেদারল্যান্ডস সরকার গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আগামী তিন সপ্তাহ পর অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে নেদারল্যান্ডসের রাজনীতিকদের প্রতি ইসরায়েলের সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

প্যাক্স নেদারল্যান্ডসের পরিচালক রোলিয়েন সাসে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘আমরা প্রত্যাশা করছি, খুব শিগগিরই গাজায় প্রকৃত যুদ্ধবিরতি হবে। সেখানকার মানুষ নিরাপদে থাকবেন এবং মানবিক সহায়তা পাবেন। তবে আমরা ইসরায়েল দীর্ঘমেয়াদে গণহত্যা বন্ধে কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT