শুক্রবার ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজা থেকে মাত্র ৩৭০ কিমি দূরে ত্রাণবাহী নৌবহর

প্রকাশিত : ০৭:১৭ পূর্বাহ্ণ, ১ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার ২০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ভূমধ্যসাগরে গাজা উপত্যকা অভিমুখে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলের ঘোষিত ‘বিপৎসীমায়’ প্রবেশ করেছে। গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার (প্রায় ২০০ নটিক্যাল মাইল) দূরে অবস্থান করা এই নৌবহরটি যেকোনো মুহূর্তে ইসরায়েলি বাধার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অংশগ্রহণকারীরা। এই ফ্লোটিলায় পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ-এর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সক্রিয় কর্মীরা রয়েছেন।

নৌবহরের জাহাজগুলোতে খাবার, চিকিৎসা সামগ্রী এবং অন্যান্য জরুরি সরঞ্জামসহ মানবিক সহায়তা বহন করা হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সকল অংশগ্রহণকারী নিরাপদে যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন।

নৌবহরের একটি জাহাজে থাকা ক্রোয়েশিয়ার আইনজীবী মোরানা মিলজানোভিচ আন্তর্জাতিক আইন তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় বা অন্য কোনো দেশের আঞ্চলিক জলসীমায় বেসামরিক জাহাজ আটকানোর কোনো অধিকার ইসরায়েলের নেই।

মিলজানোভিচ দৃঢ়ভাবে বলেন, “কোনো রাষ্ট্রই শুধু কোনো কনভেনশনের ভিত্তিতে নয়, সাধারণ আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বেসামরিক নৌকাকে আটকাতে পারে না।” ইসরায়েল কেবল তখনই আটক করতে পারে, যখন কোনো অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকে বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য প্রমাণিত হুমকি থাকে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই নৌবহর নিছক মানবিক সহায়তা বহন করছে এবং এটি কোনো হুমকি নয়।

নৌবহরটির মূল লক্ষ্য হলো গাজার উপকূলে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং একইসঙ্গে গাজার বর্তমান সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সচেতন করা। অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, গাজার সংকটের প্রতিবাদ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। এই উদ্যোগ ইসরায়েলি নীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনী এই বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।

সূত্র: আল জাজিরা

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT