শুক্রবার ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারের দাবিতে ফুঁসে উঠলেন আর্জেন্টাইন নোবেল বিজয়ী

প্রকাশিত : ০৭:১২ পূর্বাহ্ণ, ১ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার ১৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিরুদ্ধে একটি ফেডারেল আদালতে পিটিশন দাখিল করে আর্জেন্টিনার নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী আদোলফো পেরেজ এস্কুইভেল দাবি করেছেন, আর্জেন্টিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর অধীনে তার আইনি বাধ্যবাধকতা পালনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং যদি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশটিতে আসেন, তবে তাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করতে হবে। এ খবর জানিয়েছে আল মায়াদিন।

সোমবার আর্জেন্টিনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এস্কুইভেল জানান, তিনি তার আনুষ্ঠানিক আবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আর্জেন্টিনার উচিত আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা এবং আইসিসি যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে, তা কার্যকর করা।

দিনি বলেন, “যদি তিনি (নেতানিয়াহু) এখানে আসেন প্রেসিডেন্ট মিলেয়ের আমন্ত্রণে, তাহলে অবশ্যই প্রতিরোধের মুখে পড়বেন। আমরা আশা করি, তিনি এই দেশে না আসেন।”

তিনি সরকারের স্মরণ করিয়ে দেন যে, আর্জেন্টিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এখতিয়ারকে স্বীকৃতি দেয়, ফলে আদালতের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। পেরেজের ভাষায়, “ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং এতে আনুমানিক ২০ হাজার ০০০ শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে জবাবদিহি এড়ানো সম্ভব নয়।”

পেরেজ প্রেসিডেন্ট মিলেয়ের সরকারের সমালোচনা করে বলেন, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর না করার অবস্থান গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। তিনি বলেন, “আদালতের অবস্থান স্পষ্ট। প্রেসিডেন্টের অস্বীকৃতি গণতন্ত্রের জন্য একটি নেতিবাচক বার্তা এবং এটি আর্জেন্টিনার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্রমবর্ধমান একত্রীকরণের ইঙ্গিত দেয়।”

লাতিন আমেরিকায় মানবাধিকার আন্দোলনের একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে পেরেজ ১৯৮০ সালে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ছিলেন আর্জেন্টিনার সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে অহিংস প্রতিরোধের অগ্রভাগে। সে সময় তাকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হয়েছিল। এবারও তিনি রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের পক্ষে তার আজীবন অঙ্গীকারের পুনরায় প্রকাশ ঘটালেন।

সূত্র: মেহের নিউজ

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT