বৃহস্পতিবার ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার ‘জেন-জি’ বিক্ষোভে উত্তাল মরক্কো

প্রকাশিত : ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ, ২ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার ১৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মাদাগাস্কারের পর এবার ‘জেন-জি’ বা প্রজন্মের তরুণদের নেতৃত্বে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তর আফ্রিকার মুসলিম দেশ মরক্কো। দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে টানা চতুর্থ দিনের মতো দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। এ সময় দুই শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে মরক্কোর বিভিন্ন শহরে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা স্লোগান দেন— উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, মানসম্মত শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক সংগঠন ‘জেন-জি ২১২’ এই আন্দোলনের ডাক দেয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, কিছু এলাকায় বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পাথর ছুড়ে মারে এবং গাড়ি ও ব্যাংকে আগুন দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এসব ঘটনার চিত্র দেখা গেছে। মরক্কোর মানবাধিকার সংগঠন এমডিএইচ পুলিশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও নির্বিচারে গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলেছে।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর ওউজদায় পুলিশের ভ্যানে ধাক্কা লেগে একজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।

এদিকে ‘জেন-জি ২১২’ এক বিবৃতিতে সহিংসতার কিছু ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের ভাষায়, “আমাদের ন্যায্য দাবির বৈধতাকে খাটো করবে এমন আচরণ থেকে বিরত থাকুন।”

বিক্ষোভকারীদের অন্যতম ক্ষোভের বিষয় ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন উপলক্ষে মরক্কোর বিশাল অঙ্কের অর্থব্যয়। এক তরুণের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “অন্তত ফিফা স্টেডিয়ামে ফার্স্ট এইড কিট থাকবে! আমাদের হাসপাতালে তো সেটাও নেই।”

বিশ্লেষকরা এই আন্দোলনকে সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়া ও আফ্রিকার অন্যান্য দেশের যুব-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের ধারাবাহিক অংশ হিসেবে দেখছেন। চলতি গ্রীষ্মে নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও মাদাগাস্কারে একই ধরনের বিক্ষোভ হয়। এর মধ্যে নেপালে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং মাদাগাস্কারে সরকারের পতনের ঘটনা ঘটে।

মরক্কোতে গ্রেপ্তার হওয়া অধিকাংশ বিক্ষোভকারী জামিনে মুক্তি পেলেও এখনো ৩৭ জন তরুণের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে এমডিএইচ।

সরকারি জোট এক বিবৃতিতে তরুণদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ‘আইনসঙ্গত ও ভারসাম্যপূর্ণ’ ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT