শনিবার ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার আফ্রিকায় নামলো জেন-জি, মাদাগাস্কারে সরকার পতনের বিক্ষোভ

প্রকাশিত : ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার ২১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

পানির তীব্র সংকট এবং দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদে পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কারে ফের রাস্তায় নেমেছে হাজারো মানুষ। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই তৃতীয় দফার বিক্ষোভে এবার সরাসরি সরকারের পদত্যাগ দাবি জানানো হয়েছে।

আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানী আন্তানানারিভোতে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ সময় বিক্ষোভকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আফ্রিকার কেনিয়া এবং এশিয়ার নেপালের ‘জেন-জি’ আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মাদাগাস্কারের তরুণরা এই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেছেন। এটি সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

২০২৩ সালের নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম বড় রাজনৈতিক চাপে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানীতে ইতোমধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।

সোমবার বিক্ষোভকারীরা আন্তানানারিভোর একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে জাতীয় সংগীত গেয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। পরে তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে রাস্তায় ইট-পাথর ও টেলিফোন খুঁটি ফেলে ব্যারিকেড তৈরি করে রাস্তা অবরোধ করেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ২৪২৪ এমজির প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে এবং সড়কে তৈরি ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বহু মানুষ দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান এনটসে, তার সরকার এবং প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনার পদত্যাগ দাবি করেন। আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে রোববার এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা স্বীকার করেন যে তার শাসনামলে কিছু ভুল হয়েছে।

তিনি বলেছেন, যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, আমি তা স্বীকার করছি এবং এখন সবকিছু সংস্কারের উপায় খুঁজছি।

তিনি এ বক্তব্য দেন রাজধানীর আনোসিবে এলাকায়, যেখানে গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছিলেন।

প্রতীকীভাবে মাদাগাস্কারের জেন-জি আন্দোলনকারীরা নেপালের সাম্প্রতিক তরুণ আন্দোলনের পতাকা ব্যবহার করছেন। নেপালে এই তরুণদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগে বাধ্য হন। তেমনি, কেনিয়ার আন্দোলনের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের সংগঠিত করছেন মাদাগাস্কারের তরুণ বিক্ষোভকারীরাও।

সূত্র: রয়টার্স

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT