সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিতে ধ্বংস হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা: বদিউল আলম ◈ সার্কিট ব্রেকারের শীর্ষে চার কোম্পানির শেয়ার ◈ নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন ◈ গাজায় ইসরায়েলের জাতিগত নিধন অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ◈ ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ◈ স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা: পুলিশ ◈ ভারি বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হতে পারে ৯ জেলার নিম্নাঞ্চল ◈ টাইফয়েডের টিকা পাবে ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশু, দিবে যেদিন থেকে ◈ মেগাসিরিয়াল ‘খুশবু’র আইটেম গানে মাহি ◈ মৃত্যুর পাঁচ বছর পর এন্ড্রু কিশোরকে কর পরিশোধের নোটিশ

ইউক্রেনের ৭ লাখ শিশু রাশিয়ায় নির্বাসিত

প্রকাশিত : ০৫:৫৮ অপরাহ্ণ, ৩ জুলাই ২০২৩ সোমবার ১১৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

টানা ১৬ মাস ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ এ সময়ে পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেন থেকে বহু মানুষ ও শিশুকে জোর করে নিজেদের দেশে নিয়ে গেছে রাশিয়া। বস্তুত শহর অবরুদ্ধ করেও ইউক্রেনের নাগরিক এবং শিশুদের রাশিয়ায় যেতে বাধ্য করার ঘটনা ঘটেছে।

জোরপূর্বক নির্বাসিত শিশুদের নিয়ে ইউক্রেন নানা সময়ে মন্তব্য করলেও কখনই তাদের প্রকৃত সংখ্যা সামনে আসেনি। তবে এবার সেই সংখ্যা সামনে এসেছে। মস্কো বলেছে, ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের প্রায় ৭ লাখ শিশু বর্তমানে রাশিয়ায় রয়েছে।

সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় শিশুদের রুশ ভূখণ্ডে নিয়ে আসা সম্পর্কে কথা বলেছেন রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান গ্রিগরি কারাসিন। রোববার গভীর রাতে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে প্রায় ৭ লাখ শিশুকে রুশ ভূখণ্ডে নিয়ে এসেছে রাশিয়া।

কারাসিন তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ৭ লাখ শিশু আমাদের কাছে আশ্রয় পেয়েছে। ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় বোমা হামলা এবং গোলাবর্ষণ থেকে পালিয়ে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছে।’

রয়টার্স বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর ইউক্রেনীয় বহু শিশুকে রুশ ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মস্কো বলেছে, ইউক্রেন থেকে শিশুদের রাশিয়ার ভূখণ্ডে নেওয়ার কারণ হলো সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে এতিম ও পরিত্যক্ত শিশুদের রক্ষা করা।

তবে ইউক্রেন বলছে, অনেক শিশুকে অবৈধভাবে তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও বলছে, হাজার হাজার শিশুকে জোরপূর্বক তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র অনুমান করে জানিয়েছিল, ২ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে ‘জোরপূর্বক নির্বাসনে’ নিয়ে গেছে রাশিয়া।

অন্যদিকে ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলগুলোর একীকরণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতে, বর্তমানে ১৯ হাজার ৪৯২ ইউক্রেনীয় শিশু অবৈধভাবে রুশ ভূখণ্ডে নির্বাসিত অবস্থায় রয়েছে।

অবশ্য চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স বলেছিল, রাশিয়া টানা ১৩ মাস ধরে তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তাতে এখন পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ পরিবার এবং শিশুসহ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এছাড়া রাশিয়ায় জোরপূর্বক নির্বাসিত করা শিশুদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করাও অসম্ভব বলে ওই সময় জানিয়েছিল বার্তা সংস্থাটি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT