সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আসাদের পতন পাল্টে দেবে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি

প্রকাশিত : ০৯:২৪ পূর্বাহ্ণ, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সোমবার ৭৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভিযানে পতন ঘটেছে সিরিয়ার দীর্ঘ পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতাসীন আসাদ পরিবারের। এতদিন রাশিয়া ও ইরানের প্রত্যক্ষ মদদে নিজ জনগোষ্ঠীর ওপর নির্বিচার গণহত্যা চালিয়ে টিকে থাকলেও সাম্প্রতিক ভূরাজনীতির পটপরিবর্তন ক্রমেই শক্তিহীন করে ফেলে বাশার আল আসাদ সরকারকে।

ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা যুদ্ধের কারণে সিরিয়ান সরকারের ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র অনেকটা বাধ্য হয়েই সিরিয়া থেকে নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। বলা হচ্ছে দামেস্কের এই পটপরিবর্তন পাল্টে দেবে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার রাজনীতিকে।

গেল এক দশক ধরে আসাদ সরকারের অন্যতম শক্তি ছিল ইরান। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রত্যক্ষ সামরিক সহায়তা নিয়েছেন আসাদ। অন্যদিকে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সিরিয়ান সেনাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে সিরিয়ার রণাঙ্গনে।

এ সময়টাতে সিরিয়া ছিল হিজবুল্লাহর কাছে ইরানের অস্ত্র সরবরাহের অন্যতম রাস্তা। তবে গেল এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান গাজা যুদ্ধ এবং লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন হিজবুল্লাহকে একপ্রকার পঙ্গু করে দিয়েছে। অন্যদিকে, ইরান সমর্থিত ইয়েমেনে হুতিদের ওপর ইঙ্গো-মার্কিন জোটের ক্রমাগত বিমান হামলা তাদেরও অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছে।

পাশাপাশি ইরাকে থাকা ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর মার্কিন হামলা ইরানের নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ অক্ষকে ক্রমাগত দুর্বল করে তুলেছে, যার প্রভাব পড়ছে গাজায় যুদ্ধরত স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ওপরও।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পেছনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে তুরস্ক। গৃহযুদ্ধের শুরু থেকেই আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের শক্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে আঙ্কারা। যদিও পতনে নেতৃত্ব দেওয়া হায়াত তাহরির আল-শাম তথা এইচটিএসকে সমর্থন দেওয়ার কথা অস্বীকার করছে দেশটি।

গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে আল কায়দা সংশ্লিষ্টতার শক্ত অভিযোগ রয়েছে, যদিও কয়েক বছর পূর্বেই তারা আল-কায়দা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করছে।

আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ার ক্ষমতা যদি এইচটিএসের হাতে অর্পিত হয় তবে নতুন এক সমীকরণের মুখে পড়তে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য।

গোষ্ঠীটিকে এরই মধ্যে কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও তুরস্ক। এইচটিএস নিয়ন্ত্রিত ইদলিবের প্রশাসন পর্যালোচনা করে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ক্ষমতার দখল পেলে কট্টর মৌলবাদী আইন প্রতিষ্ঠা করতে পারে গোষ্ঠীটি, যা পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী আরব রাষ্ট্রগুলোর জন্য শঙ্কার কারণ হিসেবে দাঁড়াবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT