বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরও চার জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস

প্রকাশিত : ০৭:০৭ পূর্বাহ্ণ, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার ১৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

গাজা থেকে হামাস আরও চারজন জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে ফেরত দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ। ২৮ জন নিহত ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার হুমকির পরই মরদেহ হস্তান্তর করে হামাস।

মঙ্গলবার গভীর রাতে রেডক্রস কফিনে মোড়ানো মরদেহগুলো সংগ্রহ করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।

এর আগে সোমবার ফিলিস্তিনের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ২০ জন জীবিত ও চারজন মৃত জিম্মির মরদেহ ফিরিয়ে দিয়েছিল।

এদিকে রেডক্রস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েল ৪৫ জন মৃত ফিলিস্তিনির মরদেহ গাজায় ফেরত দিয়েছে। যাদের মরদেহ ইসরায়েলেই রাখা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী (যা ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই মেনে নিয়েছে), সোমবার দুপুরের মধ্যে ৪৮ জন জিম্মিকে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। গাজা থেকে সব জীবিত জিম্মি ইসরায়েলে ফেরত গেলেও এখনো ২০ জন জিম্মির মরদেহ ফেরত না দেওয়ায় হামাসের ওপর চাপ বাড়ায় ইসরায়েলি সরকার।

মঙ্গলবার আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, “হামাসকে চুক্তি অনুযায়ী সব জিম্মিকে তাদের পরিবারের কাছে দাফনের জন্য ফিরিয়ে দিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন যে, “জিম্মির মরদেহ ফেরত দিতে বিলম্ব হলে কিংবা এ নিয়ে ইচ্ছাকৃত কালক্ষেপণ করা হলে সেই অনুযায়ীই প্রতিক্রিয়া জানাবে ইসরায়েল।”

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামাস চুক্তি লঙ্ঘন করে জিম্মিদের মরদেহ ফেরত না দেওয়ায় তারা গাজায় ত্রাণ সহায়তা সীমিত করবে। একই সাথে মিসরের সঙ্গে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার পরিকল্পনাও স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

অন্যদিকে হামাস বলছে, মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ শনাক্ত করতে তাদের অসুবিধা হচ্ছে, তাই সময় লাগছে।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়, হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হয়তো নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সব দেহ খুঁজে নাও পেতে পারে।

একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যারা এখনো ফেরত আসেনি কিংবা যাদের দেহাবশেষও খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাদের খুঁজে বের করতে একটি আন্তর্জাতিক টাস্কফোর্স কাজ শুরু করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার এক্স একাউন্টে লিখেছেন, “একটা বড় বোঝা লাঘব হয়েছে, কিন্তু কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মৃতদের ফেরত দেওয়া হয়নি! দ্বিতীয় ধাপ এখনই শুরু হচ্ছে।”

যুদ্ধবিরতি মোটামুটি বজায় থাকলেও মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পূর্ব গাজা ও খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে আলাদা দুটি ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছে। গাজার পূর্বাঞ্চলীয় শেজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ওয়াফা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT