বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়াকে বাধ্য করার ক্ষমতা কী যুক্তরাষ্ট্রের আছে?

প্রকাশিত : ০৮:০৮ পূর্বাহ্ণ, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার ২৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকিকে কূটনৈতিক বাগাড়ম্বর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পোল্যান্ডের সামরিক কর্মকর্তা বোগুসল প্যাটস্ক।

পোলিশ সেনাবাহিনীর এই জেনারেল বলেছেন, মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে তেমন কোনো পরিবর্তনই হবে না।

সম্প্রতি ট্রাম্প এই বলে ঘোষণা দেন যে, মস্কো যদি ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপ করবেন।

ইউরোপীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যাটস্ক ট্রাম্পের এই হুমকির কথা উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ছাড় দিতে বাধ্য করার ক্ষমতা ওয়াশিংটনের নেই।

পোল্যান্ডের এই জেনারেল উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো)-তে ইউক্রেনের সদস্যপদ অর্জনের জন্য পশ্চিমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে যুদ্ধবিরতি অর্জনের পথে অন্যতম বাধা বলেও অভিহিত করেছেন।

অন্যদিকে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ রোববার বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তবে রাশিয়া এতে বোকা বনবে না।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব চাইলে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ এক নিমেষেই বন্ধ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। দেশটির এক সিদ্ধান্তেই নাকি ‘সঙ্গে সঙ্গে’ যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি এতদিন কেন সেটা ঘটল না, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।

পূর্ব ইউরোপের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সৌদি আরবের কী করা উচিত, সেটাও বলে দিয়েছেন ট্রাম্প। গত ২৫ জানুয়ারি এক ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, সৌদি আরব ও তেল রপ্তানিকারী অন্য দেশগুলোর উচিত অবিলম্বে তেলের দাম কমিয়ে দেওয়া। তা হলেই রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে। সূত্র: তাস ও বিবিসি

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT