সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন

প্রকাশিত : ০৮:১৫ পূর্বাহ্ণ, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার ২২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে সম্প্রতি উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং সেটিকে অবমাননা করে। এই হামলার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ঘটনাটিকে পূর্ব পরিকল্পিত এবং ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে।

গত সপ্তাহে আগরতলায় হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। তারা বাংলাদেশে কথিত হিন্দু নিপীড়নের নিন্দা এবং ইসকন সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর মুক্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ চলাকালীন একটি দল স্মারকলিপি জমা দেওয়ার অজুহাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে হাইকমিশনের চত্বরে প্রবেশ করে। সেখানে তারা ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করে।

হামলার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, এই ঘটনা ভারতের দায়িত্বহীন আচরণের বহিঃপ্রকাশ এবং এটি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ভারতের ব্যর্থতা। মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, এই হামলায় বিক্ষোভকারীদের প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়, যা হামলাটি পূর্ব পরিকল্পিত বলে প্রমাণ করে।

বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে এই হামলার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই ঘটনায় মন্তব্য করেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আশা করে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের মতপার্থক্য শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করবে।” মিলার আরও বলেন, “আমরা দেখতে চাই সব পক্ষ তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে দূর করবে।”

হামলার এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সাম্প্রতিক ঢাকা সফরেও এই বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে হামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর এ ধরনের কার্যক্রম দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিশ্বাস ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, কূটনৈতিক মিশনগুলোর নিরাপত্তা প্রদান এবং সেগুলোর সম্মান রক্ষা সংশ্লিষ্ট দেশের দায়িত্ব।

আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনা শুধু দুই দেশের সম্পর্কেই নয়, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক নীতিমালার ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে বন্ধ করতে ভারতকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করাই হবে সবার জন্য মঙ্গলজনক।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT