বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিরপেক্ষ দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য করছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত : ০৭:২০ পূর্বাহ্ণ, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার ৪০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

নিরপেক্ষ দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার। এর সপক্ষে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম বহনকারী রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজরকে’ মোংলা বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার উদাহরণ হিসেবে দেখান তিনি।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে গত ডিসেম্বরে এ উদাহরণ টানেন। সোমবার ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে মারিয়া জাখারোভার সেই বিবৃতি প্রকাশ করে।

বিবৃতিতে মস্কো বলেছে, এভাবে চাপ দিয়ে নিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলোকে রাশিয়াবিরোধী অবস্থান নিতে বাধ্য করার চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনকে এ ধরনের তৎপরতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রাশিয়া থেকে পণ্য নিয়ে আসা ‘উরসা মেজর’ জাহাজতে মোংলা বন্দরে ভিড়তে না দিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা ‘সম্পূর্ণ আইন-বহির্ভূত’ বলে দাবি করেন মারিয়া জাখারোভা।

বিবৃতিতে জাখারোভা বলেন, বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের জন্য সরঞ্জাম নিয়ে বাংলাদেশে বন্দরে ভিড়তে চেয়েছিল উরসা মেজর। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ জাহাজটি মোংলা বন্দরে ভেড়ার অনুমতিও দিয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জাহাজটি ভিড়তে না দেওয়ার চাপ প্রয়োগ করা হয়। পরে বাংলাদেশ পরে সে অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয়। এতে করে এক মাসের বেশি সময় ধরে জাহাজটি থেকে পণ্য খালাসে বিলম্ব ঘটেছে।

২৪ ডিসেম্বর উরসা মেজর নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় আছে-এমন তথ্য বাংলাদেশকে জানানো হলে দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ নেয় ঢাকা। জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে দেওয়া হয়নি। পরে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাশিয়া। কিন্তু বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত তার অবস্থানে অনড় থাকে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT