রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগরিকদের নিরাপত্তায় পাকিস্তানকে যে প্রস্তাব চীনের!

প্রকাশিত : ০৯:৫১ পূর্বাহ্ণ, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার ১৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসলামাবাদের ওপর বেইজিংয়ের ক্ষোভ দিন দিন বেড়েই চলেছে এর জেরে উভয় দেশের কূটনীতিক সম্পর্কে টানপোড়ন শুরু হয়েছে।

চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় এবার পাকিস্তানে সরাসরি চীনা সেনা মোতায়ন করার প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং। চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা ছাড়াও সন্ত্রাসবাদ দমনে একসঙ্গে অভিযান চালাতেও আগ্রহী চীন।

তবে দু দেশের মধ্যে এমন কোন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে এমন প্রস্তাবের কথা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ।বিভিন্ন সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে এশিয়ান নিউজ এইজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পুরো বিশ্বে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি চরমভাবে নষ্ট হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অতীতের মত ভবিষ্যতেও বিভিন্ন দেশ পাকিস্তান সফরে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের অর্থনীতির অধিকাংশই চীনের উপর নির্ভরশীল। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় চীন পাকিস্তানকে উল্লেখযোগ্য হারে সামরিক, অর্থনৈতিক, কূটনীতিক সহায়তা করে থাকে।

এ ছাড়াও পাকিস্তানে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রজেক্ট এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মতো বিলিয়ন ডলারের প্রজেক্টসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার চীনা নাগরিক অবস্থান করছে। এদেরমধ্যে অধিকাংশই এসব প্রজেক্টের কর্মী হিসেবে কর্তব্য রয়েছে।

অতীতে পাকিস্তানে বিদেশি নাগরিকদের উপর হামলা হলেও ইদানীং কালে তা উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছিলো তবে ২০২২ এর পর থেকে শুধু চীনা নাগরিকদের টার্গেট করে হামলা করা হচ্ছে। ২০২২ থেকে নিয়ে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২১ বারেরও বেশি সময় চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের মার্চ ও অক্টোবর মাসে আত্মঘাতী বোমা হামলায় সাত চীনা নাগরিক নিহত হয়। এর আগে ২০২১ সালে গাড়ি বিস্ফোরণে নয়জন চীনা নাগরিক নিহত হয়েছিল।

সম্প্রতি চীনে সরকারি সফরের সময় প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারি পাকিস্তানের কৌশলগত অংশীদারত্বের অটুট প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তার এই সফর হলো এমন এক সময়ে, যখন পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসবাদ ও নিরাপত্তা-সংকট চীন-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্থিতিশীলতাকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলেছে।

প্রেসিডেন্ট জারদারির দল বর্তমানে বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশের ক্ষমতায় রয়েছে। এ কারণেও সফরটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই প্রদেশেই সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন চীনা নাগরিকেরা। এসব হামলা চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সরকারকে প্রবল চাপের মুখে ফেলেছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT