সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জি২০ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪:৫৩ অপরাহ্ণ, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার ৩০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য মার্কিন তহবিল বন্ধের হুমকি দিয়েছেন। এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতে যাওয়া আসন্ন জি২০ বৈঠকেও অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ ঘোষণা দেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রুবিও লিখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা খুব খারাপ কাজ করছে। তারা ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করছে এবং জি২০ কে সংহতি, সমতা ও স্থায়িত্বের প্রচারে ব্যবহার করছে।

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রুবিওর মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, এটি ইচ্ছাকৃত জমি অধিগ্রহণ নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন আইন যুক্তরাষ্ট্রের ইমিনেন্ট ডোমেইন আইনের অনুরূপ।

আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি জোহানেসবার্গে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আয়োজন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটি ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত জি২০ সভাপতি থাকবে।

গত রবিবার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার জমি দখল এবং কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতি অন্যায় আচরণ করছে। এই বিষয়টি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত দেশটির জন্য মার্কিন তহবিল বন্ধ থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেননি তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সরকার কোনও ব্যক্তিগত জমি দখল করেনি। তাদের লক্ষ্য হলো জনসাধারণের জন্য ভূমির সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় জমির মালিকানা একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর রাজনৈতিক বিষয়। উপনিবেশ ও বর্ণবাদী শাসনের সময় কৃষ্ণাঙ্গদের নিজ ভূমি থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। বর্তমানে, শ্বেতাঙ্গদের হাতে দেশের মোট কৃষিজমির প্রায় ৭৫ শতাংশ রয়েছে। বিপরীতে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গরা মাত্র চার শতাংশ কৃষিজমির মালিক। এই বৈষম্য দূর করতে প্রেসিডেন্ট রামাফোসা সম্প্রতি একটি আইন স্বাক্ষর করেছেন, যা জনস্বার্থে সরকারকে ভূমি অধিগ্রহণের অনুমতি দেয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT