শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তর গাজার শেষ হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা

প্রকাশিত : ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার ১৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বর্বর অভিযানের পর উত্তর গাজার সর্বশেষ পরিচালিত কামাল আদওয়ান হাসপাতালটি ইসরাইলি সামরিক বাহিনী পুড়িয়ে দিয়েছে। এমনিতেই অবরুদ্ধ উপত্যকায় চিকিৎসাসেবা সীমিত, সেখানে ইসরাইলি সেনাদের জোরপূর্বক অগ্নিকাণ্ড নির্মম ঘটনা।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের সামরিক বাহিনী পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়াসহ কয়েক ডজন কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে। এছাড়া সেনারা জোর করে চিকিৎসা সুবিধা বন্ধ করায় অনেক রোগীর ভাগ্যে কী হয়েছে তা অজানা।

জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ইসরাইল গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকল্পিতভাবে ভেঙে ফেলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ডব্লিউএইচও বলেছে, প্রাথমিক খবরে এ অভিযানে হাসপাতালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালানোর কথা জানায় ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। তাদের দাবি, হাসপাতালটির হামাসের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। টেলিগ্রামে এক বার্তায় সংগঠনটি বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করছে দখলদার ইসরাইলি প্রশাসন।

এদিকে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ইসরাইল চিকিৎসা কেন্দ্রে আক্রমণ করার জন্য রোবট ব্যবহার করছে এবং এর ফলে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে যা রোগীদের এবং চিকিৎসা কর্মীদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটায়।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম সংস্থা ইয়ানেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিস্ফোরক ভর্তি রিমোট-নিয়ন্ত্রিত সাঁজোয়া যান (এপিসি) গাজার এমন এলাকাগুলো পরিষ্কার করার জন্য ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দ্বারা তৈরি একটি নতুন কৌশল।

দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের টেমের কারমাউত বলেছেন, ইসরাইল গাজায় তার বিধ্বংসী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি মোটেই পরোয়া করে না।

তিনি বলেন, ইসরাইলের জন্য যুদ্ধ মানে যথারীতি ব্যবসা। অথবা, এই স্বাভাবিক গণহত্যা ইসরাইলিদের জন্য একটি দৈনন্দিন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ তারা বোঝে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের থামাতে অক্ষম।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT