বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইউরোপের দেশগুলোকে যে কারণে ধন্যবাদ দিলেন জেলেনস্কি

প্রকাশিত : ০৫:৩৭ অপরাহ্ণ, ২০ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার ৬১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের নাম করে যে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু করেছে রাশিয়া, তাতে অধিকাংশ শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ। মস্কোর ক্রমবর্ধমান হামলা ঠেকাতে কিয়েভের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরও সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের ৯ দেশ, যা জেলেনস্কির বাহিনীর জন্য স্বস্তিদায়ক খবর। এমন সহযোগিতার প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে দেশগুলোর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

রাতের ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, আমি সেসব দেশের প্রতি সত্যিই কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিরক্ষা মজবুত করতে বেশ কিছু সাহসী এবং দারুণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের মিত্ররা।

ইউরোপের ৯ দেশের সামরিক সহায়তার ঘোষণায় ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড থেকে রুশ বাহিনীকে বিতাড়িত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে ব্রিটেন ও এস্তোনিয়া। তালিনে ব্রিটেনের সঙ্গে বৈঠকের পরই এ বিবৃতিতে দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে জেলেনস্কি ভার্চুয়ালি ভাষণে বলেন, আমি এস্তোনিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ এই কারণে যে সামরিক সহায়তার আরও একটি বড় প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তারা। বিশেষ করে হাউইটজার ও গোলাবারুদের জন্য।

সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র, লাটভিয়া, পোল্যান্ড, লিথুনিয়া স্লোভাকিয়া এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি এসেছে। জেলেনস্কি সুইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘দেশটি ৫০টির মতো সাঁজোয়া যুদ্ধ যান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। সেই সঙ্গে ডেনমার্ক ও লিথুয়ানিয়াকেও ধন্যবাদ। এই সহায়তা আমাদের সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে। এ ছাড়া আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় ধরনের সামরিক প্যাকেজের আশা করছি।’

উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধে কিয়েভের জন্য বৃহস্পতিবার আরও ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের নিরাপত্তা সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। স্ট্রাইকার সাঁজোয়া যানসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে এই প্যাকেজে। এমন অভাবনীয় সহায়তা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রুশ বাহিনীকে আরও বিপর্যয়ে ফেলবে বলে মনে করছেন পশ্চিমা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT