শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমরা আজ এক নতুন সিরিয়াকে দেখছি : তুরস্ক

প্রকাশিত : ০৯:২৩ পূর্বাহ্ণ, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সোমবার ১৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সিরিয়ায় দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ ও বাশার আল আসাদ সরকারের পতন নিয়ে কথা বলেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। কাতারের দোহা ফোরামে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। এসময় তিনি সিরিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা এবং প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সিরিয়ার জন্য কী করেছেন তা তুলে ধরেন।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আজ এক নতুন সিরিয়াকে দেখছি। সরকার ভেঙে পড়েছে এবং দেশের নিয়ন্ত্রণ অন্যদের হাতে। অবশ্যই, এটি একদিনে ঘটেনি। গেল ১৩ বছর ধরে দেশটি অশান্ত ছিল। তবে, ২০১৬ সাল থেকে, আস্তানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাশিয়া, ইরান তুরস্ক পরিস্থিতি শান্ত করেছে। মূলত যুদ্ধটা আটকে রেখেছিলাম আমরা।

তিনি বলেন, এই মূল্যবান সময় সরকার নিজের জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার জন্য ব্যবহার করতে পারত। কিন্তু সরকার সেই সুযোগ কাজে লাগায়নি। যখন সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো, তখন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নিজেই সরকারকে জাতীয় ঐক্য ও শান্তি স্থাপনের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেটিও প্রত্যাখ্যাত হয়।

হাকান ফিদান বলেন, আসাদ প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হয়। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের প্রয়োজন মেটানোর মতো সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। তারা মৌলিক সেবাগুলোও দিতে ব্যর্থ হয়। অর্ধেক জনসংখ্যা নিজ দেশেই বা দেশের বাইরে বাস্তুচ্যুত। এতে অভিবাসনের ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি ইউরোপের জন্যও ঝুঁকি তৈরি করেছে। সরকার টিকে থাকার জন্য মাদক বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করছিল।

তিনি আরও বলেন, আজ সকালে, সিরিয়া এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে সিরিয়ানরা নিজ দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। আজ আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সিরিয়ার জনগণ একা এটি করতে পারবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের সাহায্য করতে হবে। সিরিয়া জাতীয় ঐক্য, স্থিতিশীলতা, সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা, এবং জনগণের কল্যাণকে অনেক গুরুত্ব দেয়।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রশাসনকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অন্তর্ভুক্তির নীতি থেকে কখনো সরে আসা যাবে না। প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো ইচ্ছা থাকা উচিত নয়। এখন সময় একত্রিত হওয়ার এবং দেশ পুনর্গঠনের।

তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আজ আমরা অঞ্চলভিত্তিক এবং আন্তর্জাতিক সকল পক্ষকে আহ্বান জানাই যেন তারা ধৈর্য এবং শান্তভাবে কাজ করে এবং এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকে যা এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে। সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং ঐক্য রক্ষা করা অবশ্যই প্রয়োজন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT