সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজারবাইজানি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইউক্রেনের দিকে আঙুল রুশ বিমান প্রধানের

প্রকাশিত : ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার ১৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বুধবার কাজাখস্তানের আকতাও শহরে আজারবাইজানের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। যার পেছনে রুশ বিমান বাহিনীর দায় দেখছেন অনেকেই। তবে তা মানতে নারাজ রুশ বিমান বাহিনীর প্রধান। তিনি বরং ইউক্রেনের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাদের দাবি, চেচনিয়া অঞ্চলে ইউক্রেন যখন ড্রোন হামলা চালাচ্ছিল, সেই সময় আজারবাইজানের একটি বিমান কাজাখস্তানের দিকে মোড় নেওয়ার আগে অবতরণের চেষ্টা করতে গিয়ে ধ্বসে পড়ে।

তবে আজারবাইজানের এক আইনপ্রণেতা ও বহু বিমান বিশেষজ্ঞ বুধবারের বিমান দুর্ঘটনার দায় চাপিয়েছে রুশ বিমান প্রতিরক্ষার গোলাবর্ষণের উপর। যদিও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি রাশিয়ার বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ রোজাভিয়াতসিয়ার প্রধান দমিত্রি ইয়াদরভ।

আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ‘এমব্রেয়ার ১৯০’ বিমানটি সে দেশের রাজধানী বাকু থেকে রুশ প্রজাতন্ত্রী চেচনিয়ার আঞ্চলিক রাজধানী গ্রজনির দিকে উড়ে যাচ্ছিল, তবে কাসপিয়ান সাগর বরাবর কাজাখস্তানের আকতাউ-তে এটি বাঁক নেয় এবং অবতরণের চেষ্টা করতে গিয়ে ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং বাকি ২৯ জন প্রাণে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিই আহত হয়েছেন।

এই বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ কী, তা নিয়ে আজারবাইজান, কাজাখস্তান ও রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে, কেননা এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত হতে চলেছে। তবে আজারবাইজান সংসদের এক সদস্য রাসিম মুসাবেকভ সে দেশের সংবাদ সংস্থা তুরানকে বৃহস্পতিবার বলেছেন, গ্রজনির আকাশসীমায় থাকাকালীন বিমানে গুলি করা হয়েছে। তিনি রাশিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতেও বলেছেন।

মুসাবেকভের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে বলেন, দুর্ঘটনার কারণ কী তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব তদন্তকারীদের।

পেসকভ সংবাদদাতাদের ডেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ‘বিমানের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে এবং তদন্তের ফলস্বরূপ কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে মূল্যায়ন করার অধিকার আমাদের রয়েছে বলে মনে করি না।’

এদিকে রুশ বিমান বিভাগের প্রধান ইয়াদরভ বলেছেন, গ্রজনির ঘন কুয়াশার মধ্যে বিমানটি যেহেতু অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং ইউক্রেনের একাধিক ড্রোন গ্রজনিকে নিশানা করেছিল, তাই কর্তৃপক্ষ বিমান চলাচলের জন্য এলাকাটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।

ইয়াদরভ আরও বলেছেন, গ্রজনিতে অবতরণের দুইবার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর বিমানচালককে বিকল্প হিসেবে অন্যান্য বিমানবন্দরে নামার সুযোগ দেওয়া হয়, তবে তিনি কাসপিয়ান সাগর বরাবর আকাতাউতে উড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গ্রজনি বিমানবন্দর এলাকার অবস্থা বেশ জটিল। এমন অনেক পরিস্থিতি রয়েছে যার জন্য যৌথ তদন্ত জরুরি।’

আজারবাইজানের প্রসিকিউটর জেনারেলের দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, দুর্ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে আজারবাইজানের একাধিক তদন্তকারী গ্রজনিতে কাজ করছেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT