anusandhan24.com
আফগানিস্তানে পরিত্যক্ত মার্কিন অস্ত্র এখন জঙ্গিদের হাতে
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ
anusandhan24.com anusandhan24.com :

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার সময় তালেবানরা যে মার্কিনিদের বিশাল অস্ত্রাগার দখল করেছিল, সেই অস্ত্রের কোনো হদিস নেই। এই অস্ত্রগুলো হারিয়ে, বিক্রি হয়ে বা চোরাচালানের মাধ্যমে জঙ্গিদের কাছে পৌঁছেছে বলে বিবিসি সূত্র জানিয়েছে। জাতিসংঘের ধারণা, এর মধ্যে কিছু অস্ত্র আল-কায়েদার সহযোগী গোষ্ঠীর হাতেও চলে গেছে।

২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার সময় তালেবান প্রায় দশ লাখ অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নিজেদের কবজায় নেয়।

এগুলোর বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে কেনা হয়েছিল বলে এক সাবেক আফগান কর্মকর্তা নাম গোপন রেখে বিবিসিকে জানিয়েছেন।

২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রাক্কালে অনেক আফগান সেনা আত্মসমর্পণ করেন বা পালিয়ে যান। এ সময় অনেকেই তাদের অস্ত্র ও যানবাহন ফেলে গিয়েছিলেন। মার্কিন সেনারাও কিছু রণ সরঞ্জাম রেখে চলে যান।

এই অস্ত্র ভাণ্ডারে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম৪ ও এম১৬ রাইফেলের মতো আগ্নেয়াস্ত্র। এ ছাড়া আফগানিস্তানে কয়েক দশকের সংঘাতের পর পড়ে থাকা পুরনো অস্ত্রও ছিল।

সংশ্নিষ্ট সূত্রগুলো বিবিসিকে জানিয়েছে, গত বছরের শেষ দিকে কাতারের দোহায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক কমিটির এক গোপন বৈঠকে তালেবান স্বীকার করেছে, তাদের হাতে থাকা সামরিক সরঞ্জামের কমপক্ষে অর্ধেকের কোনো হিসাব নেই। কমিটির এক সদস্য জানান, তারা অন্যান্য সূত্রের সঙ্গে যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছেন, প্রায় পাঁচ লাখ সামরিক সরঞ্জামের কোনো হদিসই নেই।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান, ইসলামী আন্দোলন উজবেকিস্তান, পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামী আন্দোলন এবং ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনসহ আল-কায়েদার সহযোগী বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন তালেবানের দখলে থাকা অস্ত্র ব্যবহার করছে বা কালোবাজার থেকে কিনছে।

বিবিসি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তালেবান সরকারের উপমুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাতের বলেন, তালেবান অস্ত্রের সুরক্ষা ও সংরক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। তিনি দাবি করেন, ‘সব ধরনের হালকা ও ভারি অস্ত্র নিরাপদে সংরক্ষিত রয়েছে।’ চোরাচালান বা অস্ত্র হারানোর অভিযোগ উড়িয়ে দেন তিনি।

২০২৩ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান তাদের স্থানীয় কমান্ডারদের দখলে নেওয়া মার্কিন অস্ত্রের ২০ শতাংশ নিজের কাছে রাখার অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে কালোবাজারে অস্ত্র ব্যবসা আরো সক্রিয় হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি