ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকার দিনমজুর মোহাম্মদ রিংকু। গত শনিবার দুপুরে বাসার নিচে নেমেছিলেন প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে। দোকানে যাওয়ার পথে তার পেটে গুলি লাগে।
“মেইন রোডে ঝামেলা বইলা আমার ভাই গলি দিয়া যাইতেছিল। এর মধ্যেই হুট কইরা একটা গুলি আইসা ওর পেটে হান্দে,” বলেন আহত মোহাম্মদ রিংকুর ছোট ভাই মোহাম্মদ পিংকু।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর মোহাম্মদ রিংকুকে উদ্ধার করে পাশের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যায় স্থানীয় মানুষজন। একইসঙ্গে, স্বজনদের কাছেও খবর পৌঁছান তারা।
“খবর পাইয়া আমরা দৌড়ে হাসপাতালে গেলাম। হেরা ব্যান্ডেজ করাই দিয়া কইলো ভাইরে ওইহানে রাখন যাইবো না। তাড়াতাড়ি মুগদা মেডিকেলে নিতে হইবো,” বলেন তার ছোটভাই মোহাম্মদ পিংকু।
কিন্তু বাইরের পরিস্থিতি তখন রীতিমত রণক্ষেত্র।
“বাইরে তহন হেবি গেঞ্জাম। ছাত্র পোলাপান পুলিশগো ইটা মারতাছে, পুলিশও গুলি করতাছে,” বলছিলেন মি. পিংকু।
এর মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইরে বের হন তিনি। কিন্তু মুশকিল হয়, গাড়ি খুঁজে পাওয়া।
“এমনেই গেঞ্জাম-গোলাগুলি, তার মধ্যে কারফিউ। কেউই গাড়ি বের করতে চায় না। এম্বুলেন্সও খালি নাই। এদিকে, ভাইয়ের পেট দিয়া হমানে রক্ত পড়তেছে,” যোগ করেন তিনি।
অনেক চেষ্টার পর শেষমেশ তারা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা খুঁজে পান। কিন্তু চালককে রাজি করাতে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিতে হয়েছে তাদের।
“মহল্লা বিছড়াইয়া একটা ইজিবাইক পাইলাম। হাতে পায়ে ধইরা পাঁচগুণ বেশি ভাড়া দিয়া কোনোমতে হেরে রাজি করাইলাম,” জানান মি. পিংকু।