টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০ রানে নেই পাঁচ উইকেট। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দলকে একাই টানলেন শেরফান রাদারফোর্ড। তার বিধ্বংসী ফিফটিতে নয় উইকেটে ১৪৯ রানের পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর আলজারি জোসেফ ও গুদাকেশ মোতির দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে নয় উইকেটে ১৩৬ রানে থামিয়ে শেষ হাসি হাসে ক্যারিবীয়রা। ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে কাল ১৩ রানের জয়ে নিউজিল্যান্ডকে খাদের কিনারায় ঠেলে সুপার এইটে পৌঁছে গেছে এবারের টি ২০ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টানা দ্বিতীয় হারে গ্রুপপর্ব থেকে কিউইদের বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
প্রথম তিন ম্যাচের সবকটি জিতে ছয় পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আফগানিস্তান যদি তাদের বাকি দুই ম্যাচে অনেক বড় ব্যবধানে হারে, সেক্ষেত্রেই শুধু নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে জিতলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ থাকবে ২০২১ আসরের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আজ সকালে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে আফগানিস্তান জিতলেই বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে কিউইদের।
আগের ম্যাচে আফগানদের কাছে বাজেভাবে হারলেও তিন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট (৩/১৬), টিম সাউদি (২/২১) ও লকি ফার্গুসনের (২/২৭) আগুনে বোলিংয়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে শুরুটা দারুণ হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু ছয়ে নেমে ৩৯ বলে ৬৮* রানের টর্নেডো ইনিংসে পাশার দান উলটে দেন ম্যাচসেরা শেরফান রাদারফোর্ড। শেষ দুই ওভারে তিনি একাই করেন ৩৭ রান। শেষ উইকেটে ৩৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আরেক ব্যাটার মোতির কোনো অবদান নেই! রাদারফোর্ডের শেষের ঝড়ই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দেয়।
১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৬৩ রানে পাঁচ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড ১৩৯ পর্যন্ত যেতে পারে গ্লেন ফিলিপস (৩৩ বলে ৪০) ও মিচেল স্যান্টনারের (১২ বলে ২১*) ব্যাটে। শেষ ওভারে ৩৩ রানের কঠিন সমীকরণে শেফার্ডকে তিন ছক্কা মেরে শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে পারেন স্যান্টনার। পেসার আলজারি জোসেফ ১৯ রানে চার ও স্পিনার মোতি ২৫ রানে নেন তিন উইকেট।