ভারতের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ধারণা করা হচ্ছে জোটসঙ্গীদের নিয়ে আবারো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর বিশ্বাস জোটের সঙ্গীরা তাকে সমর্থন জানাবেন। এ নিয়ে তিনি সময় নষ্ট করতে চান না। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে শনিবার শপথ নিতে চান প্রধানমন্ত্রী। তাই তিনি আজ বুধবার পদত্যাগ করেছেন।
গত দুটি সরকারের প্রধান হিসেবে নরেন্দ্র মোদী যেভাবে তার পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করেছেন সেটিতে কোন পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা আছে কি-না কিংবা বাংলাদেশের ওপর ভারতের এবারের নির্বাচনে প্রভাব কেমন পড়বে তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে।
বিশেষ করে বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে ভারত সরকারের সমর্থন পাচ্ছিলো তা একইভাবে থাকবে কি-না তাও কারও কারও আলোচনায় আসছে।
রাজনীতি ও কূটনীতিক বিশ্লেষকদের ধারণা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন ধরণের পরিবর্তনের সম্ভাবনা এখনই তারা দেখতে পান না।
আবার ভারতে মুসলমানসহ অন্য সংখ্যালঘুদের প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার দেখিয়ে এসেছে দেশটির নতুন সরকার সেই একই দৃষ্টিভঙ্গীই পোষণ করবে কি-না সেদিকেও চোখ থাকবে অনেকের।
ফলে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের সঙ্গে নতুন সরকারের সম্পর্ক এবং মুসলিমদের বিষয়ে বিজেপি সরকারের যে দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো তাতে কোন পরিবর্তন আসবে কি-না তা নিয়ে নানা ধরণের আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
ভারতের সরকার গঠনের জন্য ২৭২ টি আসন দরকার হয়। বিজেপি এককভাবে এই পরিমাণ আসন না পাওয়া এখন তাদের জোট বা কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে হবে।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনেক উন্নতি হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও ‘সামনের দিনে আমরা সম্পর্ক আরও উন্নত করবো। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যেসব বিতর্ক আছে সেগুলো সামনের দিনে কেটে যাবে।’
বিশেষ করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে ভারত আওয়ামী লীগের পাশে ছিল।
বিরোধী দলের অভিযোগ, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের অবস্থানের কারণেই বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের জন্য সহজ হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা