anusandhan24.com
গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হামাস
মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ ০৯:২১ পূর্বাহ্ণ
anusandhan24.com anusandhan24.com :

গাজায় আবারও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিনিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। তবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা।

সোমবার রাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিরোধ আন্দোলনের একটি সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে।

এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান।

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পাশাপাশি এখন বল ইসরাইলের কোর্টে বলে জানান হামাসের ঊর্ধ্বতন নেতারা। যদিও দ্বিতীয় দফায় এ যুদ্ধবিরতি কতক্ষণ স্থায়ী হবে এবং গাজায় জিম্মিদের মুক্তির ব্যপারে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা বিস্তারিত বলা হয়নি।

হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হওয়া নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

কয়েক দিন আগেই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন হোক বা না হোক তেলআবিব ফিলিস্তিনের সীমান্তবর্তী শহর রাফহতে স্থল অভিযানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে না।

এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের রাজি হওয়ার খবর শুনে উল্লাসে রাস্তায় নেমে এসেছে গাজাবাসী।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর সেন্ট্রাল গাজার আল আকসা হাসপাতালের বাইরে মানুষ উল্লাস করছে। এ সময় শিশুরা আনন্দে লাফিয়ে উঠে এবং স্থানীয়রা গান গেয়ে এবং হাঁড়ি-পাতিলের শব্দ করে এটি উদযাপন করে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ ইসরাইলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

একই দিন তাদের নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরাইল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরাইলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।