৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত রাশিয়া ও কাজাখাস্তান। দেশ দুটির প্রধান নদীগুলোর পানি বাড়তে থাকায় ১ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার রাশিয়া জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রণায় জানিয়েছে, কয়েক দশকের মধ্যে এমন ভয়ংকর বন্যার কবলে পড়েনি রাশিয়ার পার্বত্য এলাকা। খবর রয়টার্সের।
ক্রেমলিন জানায়, বন্যায় কুর্গান ও তিউমেন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উরাল পর্বতমালা এবং সাইবেরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে দ্রুত বরফ গলে যাওয়ায় নদীগুলোর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে বলে জানায় তারা।
বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় কাজ করছে জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন কুর্গান গভর্নর।
কাজাখস্তান সীমান্তের কাছে একটি নদীর বাধ ভেঙে যাওয়ায় প্রলয়ংকরী বন্যা দেখা দিয়েছে। এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে।
রাশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, তলিয়ে গেছে ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়িরাশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, তলিয়ে গেছে ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কাজাখস্তান সীমান্তের ওরেনবার্গ এলাকার উরাল নদীর বাধ ভেঙে গিয়ে আশপাশের অন্তত ৩৯টি এলাকাটি প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১০ হাজার ৪০০টি ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলে মাত্রাতিরক্ত বরফ গলে যাওয়ার কারণে বন্যা ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। মৌসুমি বন্যায় এতটা ক্ষয়ক্ষতি হয় না।
এ অঞ্চলে ‘উরাল’ নামে একটি নদী রয়েছে। এই নদী থেকেই সৃষ্টি হয়েছে উরাল নদী, যেটি কাস্পিয়ান সাগরে গিয়ে মিলিত হয়েছে। অতিরিক্ত বরফ গলার কারণে গত শুক্রবার মাধ্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উরাল নদীর পানি ফুলে ফেঁপে ওঠে এবং ওরস্ক নগরীর বাধ ভেঙে যায়।
এদিকে সাইবেরিয়া, ভলগা ও রাশিয়ার মধ্যাঞ্চলেও বন্যা দেখা দিয়েছে। শিগগরিই এ অঞ্চলে নদী ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।