anusandhan24.com
এমপি কালামের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জঙ্গি নেতা হালিম
রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:২০ পূর্বাহ্ণ
anusandhan24.com anusandhan24.com :

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ-সদস্য আবুল কালাম আজাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জামায়াত-শিবিবের সাবেক ক্যাডার, জঙ্গি নেতা বাংলা ভাইয়ের সহযোগী আব্দুল হালিম আলোচনায় এসেছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারাও।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্র“য়ারি বাগমারার গণিপুর ইউনিয়নের একডালা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সদ্য নির্বাচিত এমপি আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এমপি আবুল কালাম আজাদ।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন-জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন, জাকিরুল ইসলাম সান্টু, বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলেন, ২০০৪ সালে জঙ্গি নেতা বাংলা ভাই বাগমারা এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বহারা নিধনের নামে হত্যা, গুম, অপহরণ এবং নির্যাতন শুরু করে। সে সময় বাংলা ভাইয়ের সক্রিয় ক্যাডার ছিলেন আব্দুল হালিম। বাংলা ভাইয়ের ফাঁসি হলে দীর্ঘদিন এলাকাছাড়া ছিলেন তিনি।

এমনকি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলা ভাইয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের বৈঠকের সময়েও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হালিম। বাংলা ভাইয়ের পক্ষে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ বিষয়গুলো সে সময় প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়। আব্দুল হালিম সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের পক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বাংলা ভাইয়ের সময়ে নির্যাতিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাগমারা উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সরকার বাবু বলেন, আব্দুল হালিম বাংলা বাহিনীর সক্রিয় ক্যাডার ছিলেন। বাংলা বাহিনীর সে সময়ের শীর্ষ ক্যাডার মাহাতাব খামারু, আব্দুস সাত্তার বিএসসি, মোশতাক আহমেদ ওরফে কিলার মোশতাকের সঙ্গে সরাসরি হত্যা, গুম, অপহরণ এবং নির্যাতনে অংশ নেন হালিম।

তিনি বলেন, জঙ্গি নেতা বাংলা ভাই বাংলা বাহিনীর মাধ্যমে এ অঞ্চলের স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের নিঃশেষ করতে চেয়েছিল। হালিমের মতো বাংলা বাহিনীর একজন জঙ্গি নেতার অনুপ্রবেশ আওয়ামী লীগের জন্য অশনি সংকেত।

এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য এমপি আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন না ধরায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাংলা ভাই ইস্যু এখন আর নেই। এখন সবকিছু স্বাভাবিক। এটি হালিমের এলাকা। এ কারণে এমপিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল হালিম বলেন, আমি কখনো বাংলা ভাইয়ের সহযোগী ছিলাম না। এটি অপপ্রচার। একটি মহল আমার ক্ষতি করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার সুনাম ক্ষুণœ করার জন্য এমনটি করছে।