anusandhan24.com
মুহুর্মুহু মর্টার শেল-গুলি তুমব্রুতে নারীসহ গুলিবিদ্ধ ৩ সীমান্তে আতঙ্ক, নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে মানুষ
সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ
anusandhan24.com anusandhan24.com :

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে চলছে তুমুল লড়াই। জান্তা সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্ত এলাকায়। মর্টার শেল ও বিরামহীন গোলাগুলির শব্দে ঘুম নেই সীমান্তের কয়েক হাজার বাসিন্দার। তুমব্রু কোনারপাড়া, ভাজাবনিয়া ও বাইশফাঁড়ি সীমান্তে শত শত পরিবার যে যেভাবে পারছে, নিরাপদে আশ্রয়ে ছুটছে। দোকানপাট ও ঘরবাড়ি বন্ধ করে অন্তত চার হাজার মানুষ অন্যত্র চলে গেছে। সীমান্তজুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক। বন্ধ রাখা হয়েছে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা।

আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের পর দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৬৮ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি সূত্র জানায়, গতকাল রাত পর্যন্ত বিজিপির আহত সদস্যসহ ৫৪ জন সীমান্ত অতিক্রম করে এপারে আশ্রয় নেয়। এর আগে সকালে পালিয়ে এপারে আশ্রয় নেয় ১৪ বিজিপি সদস্য। তাদের অস্ত্র ও গুলি রয়েছে বিজিবির হেফাজতে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া গুলিবিদ্ধ ১৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের জান্তা সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে দু’জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রাত ৮টার দিকে বিজিবি সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তারা হলো জা নি মং ও নিম লাইন কিং। এ ছাড়াও বেশ কয়েকজনকে কুতুপালংয়ের এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে তিন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মর্টার শেল ও গুলি থেমে নেই। কয়েক হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। কিছু লোক এপারে ঢুকে বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। উৎকণ্ঠায় রয়েছে সীমান্তের লোকজন।