anusandhan24.com
নির্বাচনমুখী আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা, আন্দোলনে বিএনপি
সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৪১ পূর্বাহ্ণ
anusandhan24.com anusandhan24.com :

নেত্রকোনার ৫টি আসনেই নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বর্তমান সংসদ-সদস্যদের পাশাপাশি নতুন প্রার্থীরাও নৌকার মনোনয়নের আশায় কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের কাছে চালাচ্ছেন তদবির। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। খোঁজখবর নিচ্ছেন নেতাকর্মীদের। প্রতিটি আসনেই আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। অন্যদিকে নির্বাচনি মাঠে নেই বিএনপির প্রার্থীরা। তারা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন। নির্বাচনের পরিস্থিতি বুঝে মাঠে নামবেন তারা। বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা এলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে সময় বেশি লাগবে না তাদের। মাঠ গোছানোই আছে। ভোটাররাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন ধানের শীষের নির্বাচন করার-এমনটাই মন্তব্য তাদের।

(প্রতিবেদনটি প্রস্তুতে সহযোগিতা করেছেন মামুনুর রশিদ মামুন-কেন্দুয়া, তোবারক হোসেন খোকন-দুর্গাপুর, এমএস দোহা-মোহনগঞ্জ ও প্রান্ত সাহা বিভাস-কলমাকান্দা)

নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) : এ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ-সদস্য মানু মজুমদার এবারও নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। তার শ্বশুরবাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দায়। অবশ্য ওই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাড়ি করেছেন তিনি। তবে সেখানে থাকেন না। এলাকায় গেলে মাঝেমধ্যে সেখানে যান তিনি। এ আসনে মানু মজুমদার ছাড়াও তার শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্য সাবেক সংসদ-সদস্য ছবি বিশ্বাসও নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। এছাড়া সাবেক সংসদ-সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য রোটারিয়ান আতাউর রহমান খান আঁখি’র, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, গত নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার ও তার বোন দুর্গাপুরের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস তালুকদার ঝুমা, কলমাকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তালুকদার এবং বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক সুজন হাজং নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। একক প্রার্থী হিসাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল মাঠে রয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চাইবেন সাবেক সংসদ-সদস্য গোলাম রব্বানী। তিনি ১৯৮৮ সালে নেত্রকোনা-২ (তৎকালীন) আসন থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। গত বছরের শুরুতে তিনি আবারও জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। এছাড়া লাঙ্গলের প্রার্থী হতে পারেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন শান্ত। সংসদ-সদস্য মানু মজুমদার বলেন, এবার নৌকার মনোনয়ন চাইব। মনোনয়ন না পেলে শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষেই কাজ করব। সাবেক সংসদ-সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহী বলেন, এলাকার মানুষের জন্য আমি আবারও প্রার্থী হব। তবে নেত্রী যাকেই মনোনয়ন দেবেন, আমি তার পক্ষেই কাজ করব। রোটারিয়ান আতাউর রহমান খান আঁখি’র বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতিমুক্ত, জনপ্রিয় ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে বিশ্বাস করি। মনোনয়ন চাইছি, দলের প্রধান যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষেই কাজ করব।

নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) : এ আসনে বর্তমান সংসদ-সদস্য সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু আবারও নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। তিনি ২০০৮ সালেও নৌকার মনোনয়নে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। তার বিরুদ্ধে বারহাট্টায় গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থন দিয়ে নৌকার পরাজয়ে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছি-এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এবার নৌকার মনোনয়ন চাইব। তবে নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষেই কাজ করব। আশরাফ আলী খান খসরু ছাড়াও এ আসনে নৌকার মনোনয়ন চাইছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান ওরফে ভিপি লিটন। এছাড়া এ আসনে নৌকার মনোনয়ন চাইছেন তিনবারের সাবেক সংসদ-সদস্য প্রয়াত ফজলুর রহমান খানের মেয়ে সংরক্ষিত আসনের সংসদ-সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ-সদস্য আরিফ খান জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়মী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, লে. কর্নেল (অব.) আব্দুন নূর খান, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সারোয়ার মোর্শেদ জাস্টিস, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক। এ আসনে বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে পারেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক, সাবেক সংসদ-সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম মনিরুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা জেসমিন নাহীন। লাঙ্গলের পার্থী হিসাবে নাম শোনা যাচ্ছে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মান্নান খান আরজু, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী আসমা আশরাফের। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান লিটন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে এবারও নৌকার বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত। নেত্রীর উন্নয়নের প্রচারে দীর্ঘদিন মাঠে রয়েছি। ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। বিপদে-আপদে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে দলকে চাঙা করেছি। আশা করছি, নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করবেন। মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার আশা রাখি। তবে নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষেই কাজ করব। সংসদ-সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী বলেন, নৌকার পক্ষে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি নেত্রী আমাকে নৌকার মনোনয়ন দেবেন। মনোনয়ন পেলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করব। মনোনয়ন না পেলে নেত্রী যাকে নৌকা দেবেন, তার পক্ষে কাজ করব। সাবেক মেয়র প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই দলের জন্য কাজ করছি। আমি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলাম, মেয়র ছিলাম। নৌকার মনোনয়ন পেলে বিজয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম বলেন, আমি তিনবারের পৌরসভার মেয়র, দীর্ঘদিন মনোনয়ন চেয়ে আসছি। আশা করছি নেত্রী আমাকে এবার মনোনয়ন দেবেন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা এখনো নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করছি না। এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নেব না। তবে আমরা সংগঠিত আছি। আন্দোলন-সংগ্রামে তৃণমূলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সবাই অংশ নিচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, তাহলে আমরা নেত্রকোনার পাঁচ আসনের সবকটিতে জয়ী হব বলে আশা রাখি।

নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) : এ আসনে বর্তমান সংসদ-সদস্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। তিনি এবারও নৌকার মনোনয়নে নির্বাচন করতে চান। এছাড়া নৌকার প্রার্থী হতে মাঠে রয়েছেন সাবেক সংসদ-সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কেশব রঞ্জন সরকার, সাবেক সংসদ-সদস্য ইফতেকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু এবং আটপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল ইসলাম। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত এলে ধানের শীষের প্রার্থী হতে চান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল। জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসাবে মাঠে আছেন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ভুইয়া। অসীম কুমার উকিল বলেন, নেত্রীর কাছে সবার তথ্যই আছে। তিনি যাকেই মনোনয়ন দেবেন, আমরা তার পক্ষেই কাজ করব। আমাদের যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে নেত্রকোনার পাঁচটি আসনেই নৌকার বিজয় হবে বলে আশা রাখি। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক সংসদ-সদস্য মঞ্জুর কাদের কোরাইশী বলেন, এ আসনে তিনবার আওয়ামী লীগ পরাজিত হওয়ার পর চতুর্থবার আমি নৌকা প্রতীকে ৫৫ হাজার ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলাম। জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার আমাকে মনোনয়ন দিলে আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী হব। মনোনয়ন না পেলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষে কাজ করব। কেশব রঞ্জন সরকার বলেন, যারা দুর্নীতি করেছে, যাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে, যারা জনবিচ্ছিন্ন, তাদের এলাকার মানুষ চায় না। আমি সারা জীবন দলের পক্ষে কাজ করেছি। আশা করছি, নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন। বিএনপির নেতা দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য নির্বাচন নয়। দাবি একটাই সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষেই কাজ করব।

নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) : এ আসনে তিনবারের সংসদ-সদস্য রেবেকা মমিন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যাওয়ায় সম্প্রতি উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ-সদস্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাজ্জাদুল হাসান। এছাড়া নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের নেতা নেতা শফি আহমেদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ হুসেন চৌধুরী নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। এ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসাবে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সহধর্মিণী তাহমিনা জামান শ্রাবণী। জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে আছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী খান। সংসদ-সদস্য সাজ্জাদুল হাসান বলেন, এলাকার উন্নয়নে কাজ করছি। এবারও নৌকার মনোনয়ন চাইব। তবে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার পক্ষেই কাজ করব। আওয়ামী লীগ নেতা শফি আহমেদ বলেন, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুথান থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। হাওড়াঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করছি। এবারের নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন চাইব।

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) : এ আসনে বর্তমান সংসদ-সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক)। তিনি ছাড়াও এ আসনে নৌকার মনোনয়ন চাইছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক ড. নাদিয়া বিনতে আমিন (সিআইপি), উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সুজন, ইঞ্জিনিয়ার তুহিন আহমদ, কৃষক লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সোহেল। নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এলে ধানের শীষের মনোনয়ন চাইবেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার। এছাড়া জাতীয় পার্টির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদ, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কেরামত আলী লাঙ্গলের প্রার্থী হতে চান। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতায় অংশ নিতে মানুষ আবারও নৌকায় ভোট দিতে প্রস্তুত। জেলার ৫টি আসনেই আবারও নৌকা বিজয় হবে বলে তিনি আশাবাদী। নৌকার মনোনয়ন পেলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। জেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করছি। মানুষের ভোটের অধিকার ফেরাতে কাজ করছি। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ভোটে অংশ নেব।