anusandhan24.com
যুগান্তরের সাংবাদিক হাবিবের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক
মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩ ১০:৪৪ অপরাহ্ণ
anusandhan24.com anusandhan24.com :

দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার হাবিবুর রহমান খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি পৃথকভাবে শোক প্রকাশ করেছেন।

তারা হাবিবের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাবিবুর রহমান খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার বিকালে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হাবিব। তার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর।

পরিবারের সদস্যরা জানান, বিকাল ৪টার দিকে হঠাৎ বুকের ব্যথায় অসুস্থ বোধ করছিলেন হাবিব। দ্রুত তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন হাবিব।

পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হাবিবের জানাজা মিরপুর-১ এর রাইনখোলা বাজারের শাইনপুকুর আবাসিক এলাকায় (তার বাসা) রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার ভোরে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার লাশ দাফন হবে।
যানজটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাবিবের লাশ যুগান্তর কার্যালয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হবে না। এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

মৃত্যু সংবাদ শুনে হাবিবের স্ত্রী ফারজানা মাহমুদ সনির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি তাকে সান্ত্বনা দেন এবং তার সন্তানদের খোঁজখবর নেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে হাবিব সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিয়ে জাতীয় দৈনিকে কাজ শুরু করেন।

সব সময় সদালাপী হাবিবের মৃত্যুর সংবাদে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ মাঠপর্যায়ের রিপোর্টারদের অনেকেই বিস্মিত হন, অনেকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন… কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না… হাবিব নেই। দৈনিক যুগান্তরে তার কর্মস্থলে সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

হাবিবুর রহমান খান জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ছিলেন।