ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বৈষম্যহীনভাবে একই ধরনের নিরাপত্তা সুবিধা দেবে বাংলাদেশ সরকার। ফলে এতদিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ যেসব দেশের রাষ্ট্রদূতরা বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা পেতেন, সেটি আর পাচ্ছেন না। গত রোববার থেকে ওইসব দেশের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি প্রটোকল সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানতে চাইলে সোমবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতকেই আমরা পুলিশের এসকর্ট সুবিধা দেব না। কারণ ওইসব দেশে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে এই ধরনের সুবিধা দেওয়া হয় না। এই প্রটোকল নির্ধারিত হয় আদান-প্রদানের ভিত্তিতে। কোনো দেশকেই আমরা অতিরিক্ত নিরাপত্তা সুবিধা দেব না। আমরা কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে এসকর্ট সুবিধা দিতাম। এখন অন্যান্য দেশগুলোও আমাদের কাছে বাড়তি এসকর্ট সুবিধা চাওয়া শুরু করেছে। তাছাড়া আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা অনেক ভালো আছে। ফলে এসকর্ট সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এরপরও যদি কোনো রাষ্ট্রদূত মনে করেন, তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বেশি দরকার, তাহলে তারা নিরাপত্তা সুবিধা ভাড়া করে নিতে পারবেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি- অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের নানা কৃচ্ছ্রসাধন করতে হচ্ছে। তাই রাষ্ট্রদূতদের যে বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়া হয়, সেটি আর অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, এখন পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো। তাই কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা দিলে বিদেশিদের কাছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা নিয়ে ভুল বার্তা যায়। আমরা ভুল বার্তা দিতে চাই না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাড়তি প্রটোকল প্রত্যাহারের সরকারি এ সিদ্ধান্তটি গত এক সপ্তাহ আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠির মাধ্যমে দূতাবাস ও পুলিশকে জানানো হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয় পুলিশকে।