anusandhan24.com
‘যারা শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে তাদের ভোট দেবেন’
শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩ ১০:১২ অপরাহ্ণ
anusandhan24.com anusandhan24.com :

যারা শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে তাদেরকে ভোট দেওয়ার আহ্বান করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

তিনি বলেন, ৯ মাস পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমার বিশ্বাস আপনারা ওই নির্বাচনে তাদের ভোট দেবেন, যারা আপনাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করেছে। যারা গণতন্ত্র সুসংহত করবে, শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে এবং সবার জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে তাদের ভোট দেবেন।

শনিবার রাজধানীর কামারপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যসামগ্রী উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলেই একটা স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে। কিছু প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে। এত অর্জন স্বত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, মেহনতি মানুষের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, ‘কিছু গণমাধ্যম বর্তমানে নগ্নভাবে বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে প্রথম আলোর হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে। এই ধরণের সাংবাদিকতা সাংবাদিকদের কলঙ্কিত করেছে। শিশুর সরলতাকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রদ্রোহিতা করা হয়েছে। একজন সাংবাদিকের সন্তান হিসেবে আমি ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। আমি প্রথম আলোকে প্রত্যাখ্যান করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি করছি।’

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা মনে করছেন, তারা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, সংসদ ও নির্বাচন বৈধতা পাবে না। তারা আমাদের ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করছেন। আমি তাদের স্মরণ করিয়া দিতে চাই, এর আগেও তারা নির্বাচন বয়কট করেছেন, তাতে বৈধতার কোনো সংকট হয়নি। নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ বৈধতা পেতে কোনো ঘাটতিও হয় নি।