anusandhan24.com
বৈদেশিক অর্থ খরচের লক্ষ্য ৯৪ হাজার কোটি টাকা
বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:১৭ পূর্বাহ্ণ
anusandhan24.com anusandhan24.com :

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা লেগেছে বৈদেশিক অর্থায়নে। এ জন্য আগামী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বৈদেশিক সহায়তার অংশ খুব বেশি বাড়ছে না।

ওই অর্থবছরে খরচ করা হবে ৯৪ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাবে তুলনামূলক বাড়ছে মাত্র এক হাজার কোটি টাকা।

কিন্তু অন্য বছরগুলোতে বৃদ্ধির এই হার ছিল অনেক বেশি। টানা চারদিনের বৈঠক শেষে লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) তৈরির জন্য মঙ্গলবার এ হিসাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বুধবার বলেন, বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে আগামী অর্থবছর প্রকল্পভিত্তিক বরাদ্দে কড়াকড়ি করা হয়েছে। অর্থাৎ যেসব প্রকল্প প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হবে সেগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সরাসরি অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে না সেগুলোতে বৈদেশিক সহায়তা ও সরকারি তহবিলের অর্থ বরাদ্দে প্রাধান্য পাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংকটকালীন সময় আমরা বলছি না। তবে এখনও পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি।

পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ইআরডি থেকে পাঠানো বৈদেশিক সহায়তার তথ্য হাতে পেয়েছেন তারা। এখন সেটি নিয়ে এডিপি তৈরির জন্য পরবর্তী কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার অংশ ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ হাজার ৮০০ কোটিতে। এক্ষেত্রে বেড়েছিল ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। তবে ২০২০-২১ অর্থবছরে করোনা মহামারির চূড়ান্ত পর্যায় থাকা সত্ত্বেও বৈদেশিক অংশ ধরা হয়েছিল ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে আগের অর্থবছরের তুলনায় কম ধরা হয় মাত্র ৭০২ কোটি টাকা। কিন্তু অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াতে থাকায় ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা ধরা হয় ৮৮ হাজার ২৪ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে বেশি ধরা হয়েছিল ১৭ হাজার ৫২২ কোটি টাকা। সেখান থেকে পরবর্তীতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে চলতি অর্থবছর ধরা হয় ৯২ হাজার ৩০ কোটি টাকা। পরবর্তীতে এই ব্যয় আবারও বাড়িয়ে ধরা হয়েছিল ৯৩ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির সঙ্গে তুলনা করলে আগামী অর্থবছর বাড়ছে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা।

ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে. মুজেরী বলেন, সংশোধিত এডিপির তুলনায় আগামী অর্থবছরে যে আকার ধরা হয়েছে সেটিও অনেক বেশি। যদিও মূল এডিপির তুলনায় কম বাড়ানো হয়েছে। চলতি অর্থবছর বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, যা আছে আগামীতে ভালো না হয়ে আরও খারাপও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্যবহার না হলে পাইপলাইনে পড়ে থাকবে ঋণের অর্থ। তবে লক্ষ্য যাই ধরা হোক বড় প্রশ্ন হলো এই অর্থের কার্যকর ব্যবহার। সঠিক সময়, সঠিকভাবে ঋণের টাকা খরচ করা না গেলে সেটি বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। তাহলেই বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় বেশি হবে। সেদিকে নজর না দিলে লক্ষ্যমাত্রা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকবে।

ইআরডির একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী অর্থবছর বৈদেশিক সহায়তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে গত ১৯-২৩ মার্চ পর্যন্ত মাঝে একটি দিন বাদ দিয়ে চার দিনের টানা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের চাহিদা ও গুরুত্ব বিবেচনায় বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ নির্ধারণে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। কেননা চলতি অর্থবছর সংশোধিত এডিপিতে মূল এডিপি থেকে ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কাটছাঁট করতে হয়েছে। সেজন্য প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা এবং বাস্তবায়নের গতি প্রকৃতি বিবেচনায় নতুন এডিপির জন্য খুব বেশি বরাদ্দ ধরা হয়নি। ইআরডির টানা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছিলেন সংস্থাটির সচিব শরিফা খান। এসব বৈঠকের মধ্যে ১৯ মার্চ অংশ নেন ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা। এগুলো হলো-বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ-বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন, খাদ্য, পানি সম্পদ ও ভূমি মন্ত্রণালয়। এছাড়া সংসদ সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন নয়টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা।

এগুলো হলো-স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আরও আছে আইন ও বিচার বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। ২২ মার্চ অংশ নেন ১৩টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা। ২৩ মার্চ অংশ নেন ১৫টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা।

ড. মোস্তফা কে. মুজেরী বলেন, সংশোধিত এডিপির তুলনায় আগামী অর্থবছরে যে আকার ধরা হয়েছে সেটিও অনেক বেশি। যদিও মূল এডিপির তুলনায় কম বাড়ানো হয়েছে। চলতি অর্থবছর বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, যা আছে আগামীতে ভালো না হয়ে আরও খারাপও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্যবহার না হলে পাইপলাইনে পড়ে থাকবে ঋণের অর্থ। তবে লক্ষ্য যাই ধরা হোক বড় প্রশ্ন হলো এই অর্থের কার্যকর ব্যবহার। সঠিক সময়, সঠিকভাবে ঋণের টাকা খরচ করা না গেলে সেটি বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। তাহলেই বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় বেশি হবে। সেদিকে নজর না দিলে লক্ষ্যমাত্রা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকবে।

ইআরডির একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী অর্থবছর বৈদেশিক সহায়তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে গত ১৯-২৩ মার্চ পর্যন্ত মাঝে একটি দিন বাদ দিয়ে চার দিনের টানা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের চাহিদা ও গুরুত্ব বিবেচনায় বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ নির্ধারণে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। কেননা চলতি অর্থবছর সংশোধিত এডিপিতে মূল এডিপি থেকে ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কাটছাঁট করতে হয়েছে। সেজন্য প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা এবং বাস্তবায়নের গতি প্রকৃতি বিবেচনায় নতুন এডিপির জন্য খুব বেশি বরাদ্দ ধরা হয়নি। ইআরডির টানা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছিলেন সংস্থাটির সচিব শরিফা খান। এসব বৈঠকের মধ্যে ১৯ মার্চ অংশ নেন ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা। এগুলো হলো-বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ-বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন, খাদ্য, পানি সম্পদ ও ভূমি মন্ত্রণালয়। এছাড়া সংসদ সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন নয়টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা। এগুলো হলো-স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আরও আছে আইন ও বিচার বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। ২২ মার্চ অংশ নেন ১৩টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা। ২৩ মার্চ অংশ নেন ১৫টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা।