anusandhan24.com
মাদারীপুরে ‘বীর নিবাস’ পেলো মুক্তিযোদ্ধারা
বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:১৩ অপরাহ্ণ
anusandhan24.com anusandhan24.com :

মাদারীপুরে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ‘বীর নিবাস’ পেলো মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার সকালে গণভবন থেকে মাদারীপুরে জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলার পাঁচ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা বলেন সরকার প্রধান। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন এক মুক্তিযোদ্ধার হাতে ঘরের চাবি হস্তান্ত করেন। অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর নিবাস’ তৈরী করে দেয়ায় দারুণ খুশি তারা। সুবিধাভোগী মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম বাবু চৌধুরী বলেন, ‘একমাত্র শেখ হাসিনা সরকার দেখিয়ে দিলো দেশের জন্য যারা যুদ্ধ করেছেন তাদের সম্মান কিভাবে দিতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখানো নয়, পুরো দেশ ও জাতির প্রতি এই সম্মান। তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণ করে দেয়ার জন্য।’

কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ হাওলাদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা দিয়েছেন, এজন্য তাঁকে ধন্যবাদ। মুজিববর্ষে বীর নিবাস নির্মাণ করে দিয়েছেন, এই ঘরে পরিবার নিয়ে এখন সুখ-শান্তিতে বসবাস করতে পারবো।’

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, ‘মাদারীপুর জেলায় ৩ হাজার ২০০ মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। ২৯৭টি ঘর বরাদ্দ হলেও এরইমধ্যে ৩৭টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলার ১২টি, কালকিনিতে ১১টি, রাজৈরে ৬ ও শিবচরে ৮টি। প্রতিটি একতলার আধুনিক এই ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত উপহার ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ করে দেয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী, জেলার পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. ওবাইদুর রহমান খান, কালকিনি ইপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, যুদ্ধকালীন খলিল বাহিনী প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খান, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদারসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।