বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, খেলাপি ঋণের যে চিত্র কেন্দ্রীয় তথ্যে বেরিয়ে এসেছে এটা বলতে গেলে কিছুই না। প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ হবে। কারণ একদিকে ঋণ আদায় হচ্ছে না। অন্যদিকে ঋণ বিতরণও চলছে। এভাবে ব্যাংক চলতে পারে না। করোনা ও বৈশ্বিক মন্দার বিশেষ ছাড় তুলে নিলেই খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে যাবে। কারণ খেলাপি ঋণ বন্ধে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক খাত সংস্কার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সরকার করছে না। বাজেটে ব্যাংক সংস্কারের ঘোষণা দিয়েও তা বাস্তবায়ন করেনি। এখন আইএমএফ ব্যাংক খাত সংস্কারে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের কথা বলে ঋণ পেতে যাচ্ছে। এখন দেখা যাক সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক সেগুলো আমলে নেয় কিনা। তা না হলে ক্রমশই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
সংস্কার ছাড়া এভাবে চলতে থাকলে এক সময় দেখা যাবে আর নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এসব বিষয় বিবেচনায় সরকারের এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কেননা ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির পেছনে রয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের নানা অনিয়ম, রাজনৈতিক চাপ ও ব্যাংকের পরিচালকদের নানা ধরনের হস্তক্ষেপ। ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী ও সাউন্ড করতে এগুলো বের করে প্রতিকার করা উচিত। তা না হলে ব্যাংক খাতের দুর্বলতা কমবে না।