anusandhan24.com
নড়াইল সদর থানার ওসি প্রত্যাহার
রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২ ০৬:৩৪ অপরাহ্ণ
anusandhan24.com anusandhan24.com :

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পর নড়াইল সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শওকত কবীরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার রাতেই তাকে প্রত্যাহার করে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ওসি মোহাম্মদ শওকত কবীর মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন। শনিবার রাতে জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় তিনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় গণমাধ্যমকে জানান, খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবার রাতেই শওকত কবীরকে সদর থানা থেকে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাহামুদুর রহমানকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি পুলিশ সুপার।

গত ১৭ জুন সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্র বিতর্কিত মন্তব্যকারী ভারতের বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। এতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তোলেন ওই কলেজের ছাত্র ও স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। একই ধর্মের হওয়ায় তাকে সাপোর্ট দিচ্ছে- এমন অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের পাশে পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত কলেজছাত্রের সঙ্গে আটক করা হয় অধ্যক্ষকে। ওই দিনই থানা হাজত থেকে অধ্যক্ষকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শেখ মোরছালিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১৭০ থেকে ১৮০ জনকে আসামি করে নড়াইল থানায় মামলা করেন। মামলা করার পর সোমবার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে দলের নেতৃত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের সামনেই নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও ওই কলেজের এক ছাত্রের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক করা হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের চৌধুরীকে। এ কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন-জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ছায়েদুর রহমান ও সদর থানার ওসি শেখ শওকত কবীর।

অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলামকে আহবায়ক করে পুলিশ প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ডিআই ওয়ান মীর শরীফুল হক ও পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ) রফিকুল ইসলাম। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় তদন্ত কমিটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয়।