ইরানের পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়েছে, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিটি নতুন করে করার বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ইরান সফর করার পর শোনা যাচ্ছিল, চুক্তিটি করতে নতুন করে ফের আলোচনা শুরু হবে। এমন সময় ইরানের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হলো।
এ ব্যপারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বল ওয়াশিংটনের কোর্টে।’
শনিবার ইরানের উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলী শামখানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জোসেফ বোরেলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সেই বৈঠকে ইইউর কূটনীতিককে ইরানের কর্মকর্তা জানান, পশ্চিমারা তাদের ‘অবৈধ আচরণ’ বন্ধ না করা পর্যন্ত ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
তবে শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শীগ্রই ফের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে।
ইইউর কূটনীতিক জোসেফ বোরেলের সঙ্গে আলোচনার পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, কয়েকদিনের মধ্যে আলোচনা শুরু করতে আমরা প্রস্তুত আছি। ইরানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হলো-২০১৫ সালে যেসব সুবিধা দেওয়া হয়েছিল সেগুলো পুনরায় পাওয়া।
এদিকে এ বছরের মার্চে ইরানের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি প্রায় করে ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে ইরান দাবি করেছিল পারমাণবিক চুক্তি করতে হলে তাদের ইসলামিক রেভ্যুলেশনারী গার্ডকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এ দাবি না মানায় আলোচনা ও নতুন চুক্তি স্বাক্ষর দুটিই থমকে যায়।
সূত্র: আল আরাবিয়া