বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৭ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেনি, দায়ীদের খুঁজছে তদন্ত কমিটি: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ, ৩ জুন ২০২৪ সোমবার ৮৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও কর্মীরা কেন মালয়েশিয়া যেতে পারেনি- সেই কারণ খুঁজতে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। রোববার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সিন্ডিকেট হয়েছে কি না, তাতে এমপিদের প্রতিষ্ঠান ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।

৬ সদস্যের এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে কর্মসংস্থান অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হককে। কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

গত ৩১ মে বন্ধ হয়েছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। কিন্তু হাজার হাজার কর্মী রিক্রুটিং এজেন্সি ও আদম ব্যবসায়ীদের টাকা দিয়েও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।

এদিকে গত শুক্রবার মালয়েশিয়া যাওয়ার শেষ দিনে টিকিট ছাড়াই বিমানবন্দরে ভিড় করেন হাজার হাজার কর্মী। টিকিট না পেয়ে তারা আহাজারি করেন। কর্মীরা জানান, সরকার মালেয়েশিয়া যাওয়ার খরচ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।

শ্রমবাজার বন্ধের দুদিন পর রোববার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৩ কর্মীর চাহিদার বিপরীতে গত ৩১ মে পর্যন্ত জনশক্তি কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দেয়। তাদের মধ্যে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়া গিয়েছেন। ১৬ হাজার ৯৭০ জনের কম-বেশি যেতে পারেননি।

জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বায়রার হিসাব অনুযায়ী, কর্মীদের মধ্যে ৫ হাজার ৯৫৩ জন সব প্রক্রিয়া সম্পন্নের পরও শুধুমাত্র উড়োজাহাজের টিকিট না পাওয়ার যেতে পারেননি। বাকি ১১ হাজার যেতে পারেননি বিভিন্ন কারণে। তবে প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এখনও বায়রার তালিকা পাননি।

শফিকুর রহমান বলেন, তদন্তে যারা দায়ী হবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হকের নেতৃত্বাধীন কমিটি ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এতে বিএমইটির ছাড়পত্র পাওয়ার পরও কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে না পারার কারণ চিহ্নিত করা হবে।

কর্মীদের পাঠাতে মন্ত্রণালয় আন্তরিক ছিল না, ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়নি- এসব অভিযোগের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে সরকার বরাবরই আন্তরিক ছিল। অতিরিক্ত ২৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে।

সিন্ডিকেটের বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন. নিয়োগকারী দেশ চায় বলেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করে না। সরকার অনুমোদিত সব এজেন্সি যেন কর্মী পাঠাতে পারে, এটাই চায় সরকার।

এদিকে শেষ সময়ে নিয়োগানুমতির বিষয়ে সচিব মো. রুহুল আমিন বলের, যেসব কর্মী টিকিট ছিল ২৪ মের পর শুধু তাদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়া যাওয়ার পর তাদের কাউকে নিয়োগকারীর প্রতিনিধি গ্রহণ করেনি, এমন ঘটনা নেই।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT