রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেলপথ সুড়ঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ ॥ দেখার নেই কেউ

প্রকাশিত : ০৬:০৮ পূর্বাহ্ণ, ২২ জুলাই ২০২২ শুক্রবার ২০৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ সুড়ঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ বসিয়ে গত কয়েক বছর বালু ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে একাধিক ব্যবসায়ী। তারা এতটাই শক্তিশালী এবং ক্ষমতাধর রেলওয়ের পক্ষ থেকে মামলা হওয়ার পরও পাইপগুলো অপসারণ করছে না। বরং প্রকাশ্যে শহর ও গ্রাম এলাকার জলাশয় এবং ফসলি জমি ভরাট করছে। শ্রেণী পরিবর্তন ছাড়া জমি ও জলাশয় ভরাট না করার বিধান থাকলেও ভূমি অফিস থেকে নেয়া হচ্ছে না কোন আইনী ব্যবস্থা। যেন বালু ব্যবসায়ীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে চাঁদপুর সদর। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ ঘুরে দেখা গেছে, চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক রেপথ সুড়ঙ্গ, সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকা এবং শাহতলী হামানকর্দি এলাকায় ব্রিজের নিচে ৩টি ড্রেজার পাইপ বসানো রয়েছে। শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক গুচ্ছগ্রামসংলগ্ন সুড়ঙ্গ পাইপটি গত ৪ বছর আগে বসানো। একবারও উচ্ছেদ হয়নি। সদরের মৈশাদী ও শাহতলীতে একই অবস্থা।

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের এসএসএই (পথ) উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর সদরের তিন ড্রেজার ও বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযান কিংবা বাস্তবে কোন ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেয়নি রেলওয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। এর আগে চাঁদপুর সদরের মধুরোড স্টেশনের পশ্চিম পাশে ব্রিজের নিচের ড্রেজার পাইপ লাইনটি উচ্ছেদ করে পাইপগুলো জব্দ করে নিয়ে যায় লাকসাম থেকে আসা রেলওয়ের এই পথের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাবৃন্দ। সদর উপজেলার শাহতলী, মৈশাদী ও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, এলাকার লোকজনই ড্রেজার ও বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তবে তাদের অনেকেরই রাজনৈতিক পরিচয় আছে। যে কারণে কেউ কোন ধরনের প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। মৈশাদী ইউনিয়নের ড্রেজার পাইপ দিয়ে গত কয়েক বছরে কমপক্ষে ২০টি জলাশয় ও ফসলি জমি ভরাট হয়েছে। মহল্লার সড়কে প্রবেশ করলেই ড্রেজার পাইপ দেখা যায়। চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, জমির শ্রেণী পরিবর্তন না করে জলাশয় ও ফসলি জমি ভরাট করলে আমরা আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এখন যদি কেউ ভরাট করে থাকে আমাদের কাছে তথ্য কিংবা অভিযোগ আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

চাঁদপুর রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ওসি মুরাদ উল্যাহ বাহার জানান, আমি এই থানায় এক বছর কাজ করছি। ড্রেজার ও বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমি থাকা অবস্থায় মামলা হয়নি। আগে হতে পারে, আমার জানা নেই।

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের দায়িত্বে থাকা কুমিল্লার এসএসএই (পথ) উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, রেলপথের চাঁদপুর অংশে ৪টি ড্রেজার পাইপ ছিল। আমি যখন লাকসাম ছিলাম তখন মধুরোড স্টেশন এলাকার একটি ড্রেজার পাইপ অভিযান করে উচ্ছেদ করি এবং পাইপগুলো জব্দ করে নিয়ে যাই। এখন আরও ৩টি আছে। এগুলোর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT