বুস্টার ডোজ দিবসে টিকাগ্রহীতার চাপ কম
প্রকাশিত : ০৫:৪২ পূর্বাহ্ণ, ২০ জুলাই ২০২২ বুধবার ৩০৫ বার পঠিত
করোনা প্রতিরোধে প্রথম ডোজের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে আরও আগেই। দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান প্রায় ছুঁই ছুঁই করছে লক্ষ্যমাত্রা। কিন্তু বুস্টার ডোজে যেন আগ্রহ নেই অনেকেরই। আর তাই এবার বুস্টার ডোজের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বুস্টার ডোজ দিবস পালন করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীসহ সারাদেশে চলেছে এ কার্যক্রম। ৭৫ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে একদিনের এই কর্মসূচী শুরু হলেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এবিএম খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, লক্ষ্য পূরণ না হলেও বুধবারও (আজ) চলবে কর্মসূচী। তিনি বলেছেন, যদি এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হয় তাহলে আগামী দুইদিনও এই কার্যক্রম চলবে।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বুস্টার ডোজ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, চলতি মাসের শেষেই ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকা দেয়া হবে। ৫-১১ বছরের শিশুদের টিকা আলাদা। এটা পয়েন্ট টু এমএলের ডোজ। এই টিকার ভায়াল আলাদা ও সিরিঞ্জ আলাদা। চলতি মাসের শেষে আমাদের বেশকিছু টিকা ও সিরিঞ্জ এসে পৌঁছাবে। আমরা আশা করছি, চলতি মাসের শেষে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু করা যাবে।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি মিটিং হবে। এরপর একযোগে সারাদেশে কার্যক্রম শুরু করব। প্রাথমিকভাবে আমরা ঢাকা থেকে এই কার্যক্রম শুরু করব, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে চালু করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাজমুল হক, ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডাঃ মো আশরাফুল আলমসহ অধিদফতরের অন্য কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ টিকা কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কেন্দ্রসহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সব কেন্দ্রেই সকাল ৯টা থেকে টিকাদান শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোতে টিকাগ্রহীতাদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি। ঢাকা মেডিক্যাল কেন্দ্র ৮টি টিম টিকা কার্যক্রমে কাজ করছে জানিয়ে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাজমুল হক বলেন, শুরুর দিকে টিকা গ্রহণের জন্য মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ ছিল তা এখন অনেকটাই কম। যারা আসছে তারা স্বস্তিতেই টিকা নিয়ে যাচ্ছেন। একই কথা বলেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আয়েশা আক্তার বলেন, আমরা শুরু থেকেই নিয়মিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। তবে বিশেষ দিনগুলোতে টিকাগ্রহীতার ভিড় একটু বেশিই হয়। কিন্তু আজকের (মঙ্গলবার) বুস্টার ডোজ দিবসে আগের মতো টিকাগ্রহীতার ভিড় ছিল না। যারা এসেছেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যেই টিকা নিয়ে ফেরত গেছেন।
কেন্দ্রগুলোতে টিকাগ্রহীতার উপস্থিতি কম কেন এবং উপস্থিতি বাড়াতে কোন পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা কার্যক্রমের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডাঃ শামসুল হক বলেন, করোনা প্রতিরোধে একমাত্র প্রতিষেধক টিকা। আমরা মানুষকে বার বার টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছি। সবার সহযোগিতার কারণেই আমাদের প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়েছে। আশা করছি এবারও সবার সহযোগিতা পাব। সবাই নিজ উদ্যোগে বুস্টার ডোজের টিকা নিতে কেন্দ্রে আসবেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কেন্দ্রে বুস্টার ডোজের টিকা নিতে আসা আশরাফুল আলম বলেন, প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তবে আজ ভিড় কম থাকায় খুব ভালভাবেই টিকা নিয়েছি। আর এখানকার পরিবেশও ভাল।
একই কথা বলেন রাজধানীর মগবাজারের নয়াটোলার নগর মাতৃসদনে টিকা নিতে আসা সঞ্জয়ও। তিনি বলেন, লাইনে দাঁড়ানো লাগবে বলে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ৬ মাস হয়ে গেলেও বুস্টার নেইনি। আজ বুস্টার ডোজ দিবস। তাই নিতে এসেছি। মানুষের উপস্থিতি কম থাকায় সহজেই টিকা নিতে পেরেছি। কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।