মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা শফিউল্লাহ একাই মাসে ১২০ কোটি টাকার ইয়াবা আনেন!

প্রকাশিত : ০৭:১২ অপরাহ্ণ, ৩ জুলাই ২০২২ রবিবার ৯২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

২০ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মোস্ট ওয়ান্টেড ও আলোচিত ইয়াবা মাফিয়া খ্যাত রোহিঙ্গা শফিউল্লাহ। রোহিঙ্গা শফিউল্লাহ একাই প্রতি মাসে ১২০ কোটি টাকা মূল্যের ৪০ লাখ ইয়াবা আনেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।

শনিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার লম্বাশিয়া (ক্যাম্প-১ ডব্লিউ) আশ্রয় শিবিরে অভিযান চালিয়ে শফিউল্লাহকে (৩৮) গ্রেফতার করে উখিয়া থানা পুলিশ।

শফিউল্লাহ লম্বাশিয়া আশ্রয় শিবিরের ই-ব্লকের ২ নম্বর শেডের বাসিন্দা আবদুস সালামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৮টি মাদকের মামলা রয়েছে।

পুলিশ বলছে, গ্রেফতার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে শফিউল্লাহ জানিয়েছে- তিনি একাই প্রতি মাসে মিয়ানমার থেকে কমপক্ষে ৩০-৪০ লাখ ইয়াবা দেশে এনে বিক্রি করে থাকেন। এসব ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ১২০ কোটি টাকা।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শফিউল্লাহকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ গভীর রাতে উখিয়ার পাতাবাড়ি পাহাড়ি এলাকা থেকে ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে শফিউল্লাহ পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, তিনি নিজেই প্রতি মাসে ৯০ থেকে ১২০ কোটি টাকার দামের ৩০ থেকে ৪০ লাখ ইয়াবা মিয়ানমার থেকে নানা কৌশলে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। এরপর এসব ইয়াবা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করা হয়।

ওসি বলেন, শফিউল্লাহ আরও কয়েকজন বড়মাপের রোহিঙ্গা ইয়াবা মাফিয়াদের নাম পুলিশের কাছে বলেছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে।

শফিউল্লহ ইয়াবা, আইসসহ ৮টি মাদক মামলার পলাতক আসামি উল্লেখ করে তার কাছ থেকে আরও তথ্য পেতে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।

সাধারণ রোহিঙ্গাদের দাবি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শফিউল্লাহ মতো ১০ থেকে ১৫ হাজার বড়মাপের ইয়াবা কারবারি রয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনা গেলে ক্যাম্পে পরিপূর্ণভাবে ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা বলেন, শফিউল্লাহ প্রশাসনের চোখে অনেক বড় ইয়াবা কারবারি। কিন্তু আমরা রোহিঙ্গারা জানি- তার চেয়ে অনেক বড়মাপের অন্তত ১০ থেকে ১৫ হাজার মাদক কারবারি ক্যাম্পে রয়েছে। তারাই মূলত বাংলাদেশে ইয়াবা, আইস ও স্বর্ণের চোরাচালান নিয়ে আসে। তাদের আইনের আওতায় আনা গেলে বাংলাদেশে মাদকের আগ্রাসন বন্ধ হয়ে যাবে বলে দাবি তার।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেওয়া তথ্যমতে, গত জুনে মিয়ানমার থেকে পাচারের সময় বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অন্তত ৬ কেজি আইস ও ২১ লাখের বেশি ইয়াবা উদ্ধার করে। এছাড়া চলতি ২০২২ সালের প্রথম চার (জানুয়ারি-এপ্রিল) মাসে মিয়ানমার থেকে পাচারের সময় আরও প্রায় ১ কোটি ইয়াবা এবং ৫০ কেজির বেশি আইস উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজিবি উদ্ধার করে ৪২ কেজি আইস।

অন্যদিকে পুরো ২০২১ সালে বিভিন্ন বাহিনীর হাতে উদ্ধার হয়েছিল ২ কোটি ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫০ ইয়াবা ও ২৩ কেজি ৮০২ গ্রাম আইস।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT