রবিবার ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ গণভোট ইস্যুতে মুখোমুখি বিএনপি-জামায়াত ◈ শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা ◈ চলতি বছর স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ বার, কমেছে কত বার? ◈ সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকাসহ যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস ◈ বিএনপির একজন নেতার চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই গণভোট আয়োজন সম্ভব: পাটওয়ারী ◈ ঢাকায় জুলাইযোদ্ধা শাফিনের রহস্যজনক মৃত্যু ◈ জামায়াত নিষিদ্ধে আলালের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানালেন আবদুল হালিম ◈ বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বোঝাপড়া হচ্ছে বলে শুনতে পাচ্ছি: পাটওয়ারী ◈ জামায়াত-বিএনপি ও এনসিপির কাঠামোর মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়: জাপা মহাসচিব ◈ নির্বাচন কমিশন ভাগাভাগি হয়ে গেছে: হাসনাত

নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণার গেজেট প্রকাশে আইনি নোটিশ

প্রকাশিত : ০৫:২৮ অপরাহ্ণ, ৩১ মে ২০২২ মঙ্গলবার ১৮০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের ১০ জন আইনজীবী।

মঙ্গলবার আইনজীবী আসাদ উদ্দিন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক বরাবরে এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশ পাওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

নোটিশ পাঠানো অন্য আইনজীবীরা হলেন—মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুর রহমান, আল রেজা মো. আমির, মো. রেজাউল ইসলাম, কে এম মামুনুর রশিদ, মো. আশরাফুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান, মো. রেজাউল করিম ও মো. আলাউদ্দিন।

আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম মৌখিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত হলেও লিখিতভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। বলা হয়ে থাকে, ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার আলবার্ট হলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সর্বভারতীয় বাঙালিদের পক্ষ থেকে কবিকে জাতীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কাজী নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে মুখে মুখে তিনি জাতীয় কবি হয়ে আছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে কোনো প্রজ্ঞাপন বা গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কোনো মৌখিক বিষয় নয়।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়। বসবাসের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ধানমণ্ডিতে তাঁকে একটি বাড়ি দেওয়া হয়। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ডি-লিট উপাধীতে ভূষিত হন। এরপর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে সরকারি আদেশ জারি করা হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ‘একুশে পদক’ দেওয়া হয়। সবকিছুরই ছবি, তথ্যসহ লিখিত দলিল আছে। কিন্তু, নির্মম সত্য এটিই যে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে সরকারি ঘোষণার কোনো লিখিত দলিল বা প্রমাণ নেই।

বাংলাদেশের দুটি আইনে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি আয়োজনে তাকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে উল্লেখও করা হয়। কিন্তু, সবই পরোক্ষ স্বীকৃতি। এমন স্বীকৃতি কালের বিবর্তনে মুছে যেতে পারে। আগামীর প্রজন্ম একদিন হয়ত নাও জানতে পারে যে, আমাদের জাতীয় কবির নাম কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি আমাদের ইতিহাসের অংশ। ইতিহাস ও জাতীয় স্বীকৃতি কখনও অলিখিত থাকতে পারে না। অলিখিত ইতিহাস ও তথ্য সময়ের বিবর্তনে বিলীন হয়ে যায়। এজন্য ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংরক্ষণে রাষ্ট্রকে বিপুল অর্থ বরাদ্দ দিতে হয়।

এ ছাড়া নজরুলকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণার জন্য কবি পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি তোলা হয়েছে। নজরুল গবেষক এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকেও অনেক দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু, অদ্যবধি এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই, দেশের সচেতন নাগরিক এবং উচ্চ আদালতের আইনজীবীরা এ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT