ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ। ১৯৮৮ সালের পর এমন পরিস্থিতি এ অঞ্চলে আর দেখা যায়নি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৩ জেলা এবং মারা গেছে অন্তত ৩০ জন। খবর এনডিটিভি
হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টির ফলে শতদ্রু, বিয়াস ও রাভি নদীর পানি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যার প্রভাব পড়ে পাঞ্জাবে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে উদ্ধার কাছে নেমেছে সেনা-নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা।
সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাবের ২৩ জেলা। প্রায় ১৪০০ গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঠানকোট, এখানে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের, নিখোঁজ আরও তিনজন। লুধিয়ানায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের।
ক্ষতির দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে গুরুদাসপুর জেলা। এখানে ৩২৪টি গ্রাম ডুবে গেছে, এরপর অমৃতসরে ১৩৫টি এবং হোশিয়ারপুর ১১৯টি গ্রাম ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে বার্নালা, বাথিন্ডা, ফিরোজপুর, পাতিয়ালা, এসএএস নগর, সাঙ্গরুর, তরন তারান এবং ফাজিলকা। বন্যায় ১ লাখ ৪৮ হাজার হেক্টরেরও বেশি ফসল নষ্ট হয়েছে, প্রায় ৩.৭৫ লাখ হেক্টর কৃষিজমি ডুবে গেছে। বন্যায় বহু গবাদি পশুর ভেসে যাওয়ায় দুগ্ধ উৎপাদন এবং পশুপালনেও প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখে ৬০ হাজার কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে।
এদিকে পঞ্জাবের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার ওই রাজ্যে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। শিবরাজ কাল সকালে অমৃতসরে পৌঁছাবেন। এরপর বন্যাকবলিত এলাকায় গিয়ে কৃষক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন। ফেরার পথে রাজ্যের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করবেন তিনি।
উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার তিনি এক্স পোস্টে মোদির উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘মোদিজি পাঞ্জাব বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই কঠিন সময়ে, আপনার নজর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সক্রিয় সাহায্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হাজার হাজার পরিবার তাদের বাড়িঘর, জীবন এবং প্রিয়জনদের বাঁচাতে লড়াই করছে। আমি অনুরোধ করছি, এই রাজ্যগুলোর জন্য, বিশেষ করে কৃষকদের জন্য, অবিলম্বে একটি বিশেষ ত্রাণ ঘোষণা করার পাশাপাশি, ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের গতি বাড়ানো হোক।’
প্রকাশক মোঃ সোহেল রানা ও সম্পাদক: মোঃ মোজাম্মেল হক। ২৭, কমরেড রওসন আলী রোড, বজলুর মোড়, কুষ্টিয়া-৭০০০।
© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | Design and Developed by- DONET IT