সরকার কোনো রকম চাপে নেই, ভয়ও পাচ্ছে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৮:৪০ পূর্বাহ্ণ, ২৮ মে ২০২৩ রবিবার ১১৯ বার পঠিত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত নতুন ভিসা পলিসি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘তারা আমাদের বলেছে, প্রধানমন্ত্রী যে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চান, সেটাকে সাহায্য করার জন্য তারা তাদের ভিসা নীতি প্রচলন করেছে। আমরা চাইব এ ভিসা নীতির আওতায় জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হোক।’
শনিবার (২৭ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জ্বালাও-পোড়াওয়ের কারণে যারা একবার জ্বলেছে, তাদের চেহারা দেখলে বড় দুঃখ পাবেন। আমরা আর জ্বালাও-পোড়াও চাই না। ২০১৪ সালে তারা ৩৮০০ যানবাহন জ্বালিয়েছে, বগি জ্বালিয়েছে, স্টিমার জ্বালিয়েছে। এখন যদি জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হয়, দ্যাট উড বি আ ব্লেসিং।
ড. মোমেন বলেন, যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, তাদের সতর্ক হওয়া দরকার, তাদের নেতাদের সতর্ক হওয়া দরকার। আমরা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করব।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে যারা ভোটারবিহীনভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের দু-তিন মাসের মধ্যে জনগণ ফেলে দিয়েছে। জনগণের রায়ে নির্বাচিত সরকার না হলে টিকতে পারবে না। আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাস করি, জনগণের জন্য কাজ করি, আমাদের অন্য কোনো স্বার্থ নেই। মানুষের যদি মঙ্গল করে থাকি, তাহলে নিশ্চয়ই তারা আমাদের সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানে নতুন মার্কিন ভিসা নীতি সর্ম্পকে মন্ত্রী বলেন, এ নীতি দিয়ে কীভাবে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা হবে, তারাই ভালো জানে। যারা জ্বালাও পোড়াও করে, তাদের জন্যই ভিসা নীতি বেশি প্রযোজ্য। এই নীতিতে সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি হবে না।
তিনি বলেন, সরকার কোনো রকম চাপে নেই, ভয়ও পাচ্ছে না। কাকে ভিসা দেবে আর কাকে দেবে না, এটা যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ব্যাপার। এভাবে, নীতি নিয়ে ঢাক ঢোল পেটানো কোনো দরকার নেই। বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পূজারি। এসব বিষয় সামনে আনার কোনো দরকার নেই।
তিনি আরও বলেন, নতুন মার্কিন ভিসা নীতিতে বিদেশে টাকা পাচার কমবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা পলিসি ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ মে এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানান, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তার জন্য নতুন এই পলিসির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
নতুন পলিসি অনুযায়ী, বাংলাদেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করলে বা তাতে সহায়তা করলে যে কোনও ব্যক্তিকে আর ভিসা নাও দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। যাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের কর্মরত কিংবা সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি বা বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরাও রয়েছেন।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
























