রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাজাহান খান গ্রেফতার, পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে কি?

প্রকাশিত : ০৯:৩১ পূর্বাহ্ণ, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রবিবার ৯০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সড়কে চাঁদাবাজির কারণে মানুষকে নানাভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর এ চাঁদাবাজিকে প্রাতিষ্ঠনিক রূপ দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান। তিনি ছিলেন বিগত সরকারের এক সময়ের নৌপরিবহণমন্ত্রী। জানা যায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের ছত্রছায়ায় গত ৪ বছরে বাণিজ্যিক যানবাহন থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি হয়েছে।

‘সড়ক পরিবহণে সংগঠন পরিচালনা ব্যয়’ সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রণয়ন করে এ চাঁদাবাজিকে বৈধতাও দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশনের শীর্ষনেতা হওয়ার সুবাদে পরিবহণ মালিক সমিতির অন্যান্য প্রভাবশালী নেতাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সড়ক থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। তার নিয়ন্ত্রিত দুর্বৃত্ত বাহিনীর কাছে বছরের পর বছর জিম্মি পরিবহণ মালিকরা। এদিকে নির্বাচনি হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, যা ২০২৪ সালে হয়েছে ২ কোটি ২১ লাখ টাকা। তার আয়ের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া দরকার।

বস্তুত সড়ক পরিবহণ আইনে সড়ক থেকে চাঁদা উঠানোর বিধান নেই। এরপরও শাজাহান খানের নেতৃত্বে পরিবহণ খাতে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলেছে। ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পরিবহণ সেক্টরে ১২ হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে শাজাহান খানের লোকজন। অভিযোগ রয়েছে, সারা দেশে শ্রমিকদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ঢাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় শাজাহান খান বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন। তার বেফাঁস মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা রাজপথে আন্দোলনে নামে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে করা আন্দোলনেরও সমালোচনা করেছেন তিনি। সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন মহল থেকে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সড়ক পরিবহণ আইন প্রণয়নের দাবি উঠেছে বহুবার। এক্ষেত্রেও অন্যতম বাধা ছিলেন এই শ্রমিক নেতা। অভিযোগ রয়েছে, শাজাহান খানের ঘোর বিরোধিতার কারণে অতীতে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। একবার শাজাহান খান বলেছিলেন, যারা সিগন্যাল চেনে, গরু-ছাগল চেনে, মানুষ চেনে, তাদের লাইসেন্স দেওয়া যায়। তার এমন বক্তব্য সর্বমহলে সমালোচিত হয়। শাজাহান খান গ্রেফতার হলেও সড়কে চাঁদাবাজি ও বিশৃঙ্খলা এখনো বন্ধ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার এদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবে, এটাই কাম্য।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT