রবিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুর-৩ উপনির্বাচন: অনবরত নৌকায় সিল, তদন্ত শুরু

প্রকাশিত : ০৮:০৮ পূর্বাহ্ণ, ৯ নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার ১৫৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের শূন্যপদে উপনির্বাচনে ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় অনবরত সিল মারার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে পৃথকভাবে তিন বিভাগের তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার পৃথকভাবে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও উপনির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এতে সংশ্লিষ্ট দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোটগ্রহণকারী ২৫ জনকেই তলব করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

বুধবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু বকর ছিদ্দিক, রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে একটি পৌরসভা ও ১২ ইউনিয়নের ১১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। এরমধ্যে সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আজাদ হোসেন ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় অনবরত সিল মেরে জাল ভোট দেন। পরদিন সকাল থেকে ঘটনাটির ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে ঘটনাটি পৃথকভাবে তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও লক্ষ্মীপুর সোনালী ব্যাংক শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) কর্মকর্তা নুর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার কেন্দ্রে ৪ হাজার ৩২০ জন ভোটার ছিলেন। ১ হাজার ৫৫২ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩২ ভোট বাতিল হয়েছে। ব্যালট বইয়ে নৌকায় মার্কায় অনবরত সিল মারার ঘটনাটি তার নজরে পড়েনি। পরে ভিডিওতে তিনি দেখেছেন। ঘটনাটি তদন্তের জন্য তাকেসহ ওই কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে ডেকেছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা এক চিঠিতে আমাকে দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন থেকে উপনির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে পৃথকভাবে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে আমাকে দেওয়া নির্দেশনাটি বাতিল করা হয়েছে।

উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, তদন্ত শুরু করেছি। দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮টি কক্ষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ২৫ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। তদন্তের স্বার্থে সবাইকে তলব করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত শুরু করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার বলেন, ব্যালট বইয়ে সিল মারার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসককে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। তিন কার্য দিবসের মধ্যেই প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT