বৈশ্বিক মন্দা বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার
প্রকাশিত : ০৬:১৫ পূর্বাহ্ণ, ১৭ অক্টোবর ২০২২ সোমবার ১৬২ বার পঠিত
বিশ্ব অর্থনীতিতে যে মন্দার ঢেউ চলছে তাতে বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। বাংলাদেশ একটি রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতি। তাদের প্রধান রপ্তানির বাজারগুলোর মধ্যে বড় ধরনের অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এ মন্দার প্রভাবে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার আগামী অর্থবছরে কমে যেতে পারে। শনিবার রাতে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে এমন মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়। এতে এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির চিত্র সম্পর্কেও তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বলা হয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা করে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার জন্য বাংলাদেশ বেশকিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে দেশটি এখনও মন্দার কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করে একটি অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে টাকার মান কমে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ২০ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখনও স্বস্তির পর্যায়ে থাকলেও তা ক্রমেই নিুমুখী।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮০৮ কোটি ডলারে উঠেছিল। এখন তা কমে ৩ হাজার ৬৩৩ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। নিট রিজার্ভ ৩ হাজার কোটি ডলারের নিচে। যা দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এদিকে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে প্রয় ২৫ শতাংশ। ৮৫ টাকা থেকে ডলারের দাম বেড়ে এখন ১০৬ থেকে ১০৭ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশ মন্দা মোকাবিলা করতে আইএমএফ’র সঙ্গে একটি ঋণ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেশকিছু আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে। এ বিষয়ে আইএমএফ’র একটি মিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে। এ মিশন প্রথমে জরুরি ঋণ সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে কাজ করবে। পরে সহনীয় ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে। একসঙ্গে দুটি ঋণ প্যাকেজ নিয়ে মিশনটি কাজ করবে। এতে বলা হয়, বৈশ্বিক মন্দার ধাক্কা থেকে বাংলাদেশ এখন স্বস্তিদায়ক অবস্থানে রয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে আইএমএফ প্রত্যাশা করছে। তবে আগামী অর্থবছরে এ প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
শ্রীলংকার অর্থনীতি সম্পর্কে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট এখনও প্রকট। এ থেকে উদ্ধারের জন্য আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) মিলে কাজ করছে। নেপালের অর্থনীতিতে চাপ আছে। তবে তাদের সার্বিক অবস্থা স্বস্তিদায়ক।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।