সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ২৩০০ কোটি ডলারের তহবিল

প্রকাশিত : ০৬:০৫ পূর্বাহ্ণ, ১৭ অক্টোবর ২০২২ সোমবার ১৫০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণ সহায়তা দিতে ২৩০০ কোটি ডলারের তহবিল গঠন করেছে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও অতি দরিদ্র এমন দেশগুলোকে সুদবিহীন ঋণ দেওয়া হবে ৬৫০ কোটি ডলার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছোট ও দরিদ্র দেশগুলোকে দেওয়া হবে ১০০ কোটি ডলার। এশিয়ার দেশগুলোও ওই তহবিল থেকে ঋণ পাবে। এর মধ্যে বাংলাদেশও আলোচ্য তহবিল থেকে ঋণ পাবে।

Mir Concrete
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় উন্নত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করে ওই তহবিলের জোগান নিশ্চিত করা হয়েছে। এর বাইরে উন্নয়ন সহযোগী বহুজাতিক সংস্থাগুলো থেকেও তাদের অতিরিক্ত তহবিলের একটি অংশ এ খাতে নিয়ে ঋণের জোগান আরও বাড়ানো হবে। এর বাইরে আর্থিক খাতে নগদ অর্থের প্রবাহ বাড়াতে আরও ১৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে।

করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন কম হয়েছে। একই সঙ্গে খাদ্যের সরবরাহও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে বিভিন্ন দেশে খাদ্য সংকট বেড়ে গেছে। খাদ্যের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতির হারও বেড়ে গেছে লাগামহীনভাবে। এর মধ্যে আমদানি ব্যয় বাড়ায় ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। এতেও বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে পড়ে অনেক দেশ স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করছে। এসব মিলে মূল্যস্ফীতির হার আরও বাড়ছে। আগামী বছর খাদ্য সংকট আরও প্রকট হতে পারে বলে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে আফ্রিকার ছয়টি দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশে দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য সংকট প্রকট হতে পারে। এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক বলেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ইউরোপের দেশগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সারের উৎপাদন কম হচ্ছে। ফলে এর দাম বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে ডলারের সংকটে অনেকে সার আমদানি করতে পারছে না। ফলে কৃষি উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী বছরও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবের কারণেও খাদ্য উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানে বন্যায় কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণেই দেশটি খাদ্য সংকটে পড়েছে। আফগানিস্তানেও বন্যার কারণে কৃষির ক্ষতি হয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে তীব্র খরার কারণে খাদ্য উৎপাদন কম হচ্ছে।

সংস্থা দুটি বলেছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের কারণে অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়বে। ফলে আমদানিতে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে। এতে আর্থিক খাতে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট দেখা দেবে। এই সংকট মোকাবিলায় আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক তহবিল গঠন করেছে। এই তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে আর্থিক খাতের চাপ সহনীয় রাখা হবে, যাতে তারল্য সংকটের কারণে অর্থনীতিতে আরও মন্দা জেঁকে না বসে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT