রবিবার ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ গণভোট ইস্যুতে মুখোমুখি বিএনপি-জামায়াত ◈ শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা ◈ চলতি বছর স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ বার, কমেছে কত বার? ◈ সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকাসহ যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস ◈ বিএনপির একজন নেতার চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই গণভোট আয়োজন সম্ভব: পাটওয়ারী ◈ ঢাকায় জুলাইযোদ্ধা শাফিনের রহস্যজনক মৃত্যু ◈ জামায়াত নিষিদ্ধে আলালের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানালেন আবদুল হালিম ◈ বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বোঝাপড়া হচ্ছে বলে শুনতে পাচ্ছি: পাটওয়ারী ◈ জামায়াত-বিএনপি ও এনসিপির কাঠামোর মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়: জাপা মহাসচিব ◈ নির্বাচন কমিশন ভাগাভাগি হয়ে গেছে: হাসনাত

বিএনপি নেতার গুদামে সরকারি প্রণোদনার সার

প্রকাশিত : ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ, ৮ নভেম্বর ২০২৪ শুক্রবার ১০০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

কৃষকের জন্য সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের ৩১৫ বস্তা সার পাওয়া গেল ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার এক বিএনপি নেতার গোডাউনে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন গুদামটি সিলগালা করে দিয়েছেন।

নিশাত শারমিন জানান, সরকারি সার বাইরের গুদামে ছিল। এ বিষয়ে ডিলারও সদুত্তর দিতে পারেননি। ওই অবস্থায় গুদামটি সিলগালা করা হয়েছে। সেখানে কীভাবে সার গেল, তা কৃষি কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকেও জানানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রণোদনার দুই ট্রাক সার বিএডিসি থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল উপজেলা কৃষি কার্যালয়ে। দুই ট্রাকে এমওপি ও ডিএপি ৬৩০ বস্তা সার ছিল। ৩ নভেম্বর এসব সার সরকারি গুদামে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ৩১৫ বস্তার এক ট্রাক সার যায় বিএনপি নেতা মাজহারুল আহসানের গুদামে।

মাজহারুল আহসান ধোবাউড়া থানা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ। বর্তমানে এলাকায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও দলীয় কোনো পদ নেই। ধোবাউড়া মধ্যবাজারে মেসার্স আর এম ট্রেডার্স নামে তার একটি সারের দোকান রয়েছে এবং তিনি বিএডিসির সার ডিলার।

এ বিষয়ে ডিলার মাজহারুল আহসান বলেন, মাঠে চাহিদা থাকলেও আমার গুদামে এমওপি সারের সংকট ছিল। এ খবর জেনে কৃষি কর্মকর্তা এক ট্রাক সার আমার গুদামে পাঠিয়ে দেন। আমি তখন কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলাম। নিজের বরাদ্দ উত্তোলনের পর সমপরিমাণ সার কৃষি কর্মকর্তাকে দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। আমার গুদামে সার রাখলেও পরে প্রকৃত কৃষকদের স্লিপ দিয়ে সার তুলে নিতেন কৃষি কর্মকর্তা। আমি কৃষি কর্মকর্তার কাছে এখনো সাত লাখ টাকা পাই, যা দীর্ঘদিনে জমেছে। অফিসে সার রাখলে উনি (কৃষি কর্মকর্তা) অনেক ঝামেলায় থাকেন। আমার এখান থেকে কৃষকদের সার দিতে সহজ হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার গোলাম সারোয়ার তুষার বলেন, আমার দুই ট্রাক সারের এক ট্রাক ডিলারকে দেওয়া হয়েছে, তিনি তার বরাদ্দের এক ট্রাক আমাকে দেবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাছরিন আক্তার বানু বলেন, বিষয়টি শোনার পর আমরা খোঁজখবর নিতে শুরু করেছি। যার গুদামে রাখা হয়েছে, সেটিও বিএডিসির। ডিলারেরও এক ট্রাক সার আসার কথা ছিল। এখানে ট্রাকের উল্টাপাল্টা হয়েছে। পরের ট্রাকটি কৃষি কর্মকর্তার কাছে দেওয়ার কথা ছিল। সরকারি গুদামে জায়গা না থাকায় অনেক সময় বাইরেও সার রাখা হয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT