পবিত্র শবে কদরে ইবাদতে মশগুল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা
প্রকাশিত : ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ২৮ মার্চ ২০২৫ শুক্রবার ৭৩ বার পঠিত
বরকতময় শবে কদরেই নাজিল হয়েছে পবিত্র কুরআন। এই রজনী নিয়ে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ একটি সূরা। খোদার কাছে নিজেকে সপে দিতে হাজার মাসের চেয়েও সেরা এই রাতটির চেয়ে ভালো সময় আর কী-বা হতে পারে! মুসলমানরা সেই সুযোগটি হাতছাড়া করতে চান না।
তাই আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হয়ে পড়েছেন তারা। বিশেষ ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ শবে কদর। এই রাত উপলক্ষে রাজধানীর মসজিদে-মসজিদে খতমে তারাবির নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ ঘুরে দেখা যায়, এশার আজানের পর থেকেই অন্যান্য দিনের তুলনায় মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় বেশি। অনেক এলাকায় মসজিদে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে উপচেপড়া ভিড় ছিল মুসল্লিদের। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে নামাজ পড়তে এসেছেন এখানে।
শবে শব্দটি বাংলা ভাষায় এসেছে ফারসি থেকে। ফারসিতে শাব ও আরবিতে লাইলাতুন অর্থ রাত্রি বা রজনী। অন্যদিকে ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। লাইলাতুল কদরের নানা মহিমা কুরআন এবং হাদিসে বর্ণিত আছে। শবে কদর মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে ভাবমর্যাদাপূর্ণ রাত হিসেবে পালিত হয়।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে কেউ ঈমান ও সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে সালাত আদায় করতে দাঁড়াবেন, তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
যদিও কুরআনন এবং হাদিসে শবে কদরকে নির্দিষ্ট কোনো তারিখে বেঁধে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, রমজানের শেষ দশ দিন যেকোনো বেজোড় রাতই হতে পারে শবে কদর। তবে উপমহাদেশের অনেক আলেমের মতো, ২৭ রমজান দিবাগত রাতকে কদরের রাত বিবেচনা করে আলাদা মর্যাদায় পালন করা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশে যেসব মসজিদে খতমে তারাবির পড়ানো হয়, সেখানে সারা মাসে নামাজে পড়া কিরাতের মাধ্যমে কুরআন তেলাওয়াত খতম দেওয়া হয় কদরের রাতে। এতে করে একদিকে কুরআন খতম, অন্যদিকে কদরের রাত- দুই মর্যাদাই মুসলমানরা লাভ করতে পারেন।
এ ছাড়া কদরের রাতকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় সামগ্রী বিক্রিও অনেক বেড়ে যায় বলে জানান বিক্রেতারা। বিশেষ করে আতর, টুপি, তসবিহ, মেসওয়াক এবং সুরমার মতো সুন্নতি সামগ্রীতে ক্রেতাদের আলাদা আগ্রহ থাকে।
এদিকে কদরের রাতে মসজিদের পাশাপাশি বাসা-বাড়িতেও চলে ইবাদাত। নারীরা নামাজ এবং কুরআনন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে পার করেন এ রাত।
মুসলমানদের জীবনে কদরের রাত আসে ক্ষমার বার্তা নিয়ে। আল্লাহুম্মা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ ফুআন্নি এই দোয়ার মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। সব মিলিয়ে এই রাত রমজানকে করে তোলে আরও মহামান্বিত।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।